ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫, ২২ কার্তিক ১৪৩২

নবম পে স্কেল: বাড়তে পারে চিকিৎসা ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা

২০২৫ নভেম্বর ০৬ ১৫:৩২:৫৩

নবম পে স্কেল: বাড়তে পারে চিকিৎসা ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা

নিজস্ব প্রতিবেদক: সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে নবম জাতীয় পে স্কেল দ্রুত চালু হতে যাচ্ছে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত পে কমিশন ইতোমধ্যেই নতুন বেতন কাঠামো এবং বিভিন্ন ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাবনা নিয়ে কাজ শুরু করেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির এই বাজারে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে চিকিৎসা ভাতা এবং শিক্ষা ভাতা-র মতো মৌলিক প্রয়োজনীয় খাতগুলোর ওপর।

বর্তমানে একজন সরকারি কর্মচারী মাসে ১,৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। নতুন পে স্কেলে এই ভাতাটি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। পে কমিশনের কাছে বিভিন্ন কর্মচারী সংগঠনের পক্ষ থেকে একাধিক প্রস্তাবনা জমা পড়েছে:

প্রথম প্রস্তাব: চিকিৎসা ভাতা বর্তমান ১,৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,৫০০ টাকা করা।

দ্বিতীয় প্রস্তাব: দ্রব্যমূল্যের চাপ বিবেচনা করে ভাতাটি ৫,০০০ টাকা বা কিছু গ্রেডের জন্য ৬,০০০ টাকা করার সুপারিশ।

তৃতীয় প্রস্তাব (সর্বোচ্চ): কর্মচারীদের মূল বেতনের ১০ শতাংশ হিসেবে চিকিৎসা ভাতা নির্ধারণ।

বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণযোগ্য বিষয় হলো, কমিশন শুধুমাত্র চাকরির সময়কালের জন্য নয়, অবসর-পরবর্তী চিকিৎসা সুবিধা বৃদ্ধিরও পরিকল্পনা করছে।

সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ বেতন

নতুন পে স্কেলে সর্বনিম্ন (২০তম গ্রেড) মূল বেতন ৩৫,০০০ টাকা করার একটি বড় প্রস্তাবনা রয়েছে। পাশাপাশি, বিভিন্ন ফেডারেশনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ বেতনের সিলিং ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা বা তারও বেশি করার দাবি উঠেছে।

চিকিৎসা ভাতার পাশাপাশি সন্তানের শিক্ষা ভাতা এবং টিফিন ভাতা-ও উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর সুপারিশ করা হবে। পে কমিশনের মূল লক্ষ্য হলো বর্তমান পে স্কেলের কিছু বৈষম্য দূর করে একটি সামঞ্জস্যপূর্ণ বেতন কাঠামো তৈরি করা।

চূড়ান্ত ঘোষণা কবে?

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পে কমিশনের চূড়ান্ত প্রতিবেদন ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই জমা দেওয়া হতে পারে। এরপর দ্রুততম সময়ে গেজেট আকারে নতুন পে স্কেল প্রকাশ ও কার্যকর করার পরিকল্পনা রয়েছে।

ইএইচপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত