ঢাকা, বুধবার, ২২ অক্টোবর ২০২৫, ৭ কার্তিক ১৪৩২
ট্রাইব্যুনালে আনা হয়েছে সেনা হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকারের সময় সংঘটিত গুম, খুন ও নির্যাতনের অভিযোগে আটক সেনা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার ভোর থেকে ঢাকার পুরানাপল্টনে ট্রাইব্যুনাল চত্বরে নেয়া হয় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকাল ৭টার পর প্রিজনভ্যানে করে সেনা হেফাজতে থাকা কর্মকর্তাদের আদালতে আনা হয়। পরে পুলিশ সদস্যরা তাদের ট্রাইব্যুনালের হাজতখানায় নিয়ে যান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দায়ের হওয়া তিনটি মামলায় মোট ২৮ জন আসামি রয়েছেন, যাদের মধ্যে ১৫ জন সেনা কর্মকর্তাকে সেনা হেফাজত থেকে আদালতে আনা হয়।
এই তিন মামলার একটি আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গুম-নির্যাতনের ঘটনায়, অন্যটি জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রাজধানীর রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত অপরাধ নিয়ে।
গুম, নির্যাতনের একটি মামলায় আসামি ১৭ জন। তাদের মধ্যে সেনা হেফাজতে আছেন র্যাবের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জাহাঙ্গীর আলম, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কামরুল হাসান, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহাবুব আলম, ব্রিগেডিয়ার কে এম আজাদ, কর্নেল আবদুল্লাহ আল মোমেন ও কর্নেল আনোয়ার লতিফ খান। এছাড়া র্যাবের গোয়েন্দা শাখার সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মশিউর রহমান, সাইফুল ইসলাম সুমন ও সারওয়ার বিন কাশেমও সেনা হেফাজতে আছেন।
এই মামলার আরও আসামি রয়েছেন র্যাবের সাবেক তিন মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, এম খুরশিদ হোসেন ও মো. হারুন-অর-রশিদ তারা পলাতক। পাশাপাশি শেখ হাসিনা, তার প্রতিরক্ষাবিষয়ক উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এবং র্যাবের সাবেক পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ খায়রুল ইসলামও এ মামলার পলাতক আসামি।
আওয়ামী শাসনামলে গুম-নির্যাতনের আরেক মামলায় শেখ হাসিনা, তারিক আহমেদ সিদ্দিকসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ মামলায় ডিজিএফআইয়ের সাবেক পরিচালক মেজর জেনারেল শেখ মো. সরওয়ার হোসেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাহবুবুর রহমান সিদ্দিকী ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজাহার সিদ্দিকী সেনা হেফাজতে আছেন।
ডিজিএফআইয়ের সাবেক পাঁচ মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. আকবর হোসেন, মেজর জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আবেদিন, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. সাইফুল আলম, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আহমেদ তাবরেজ শামস চৌধুরী ও মেজর জেনারেল (অব.) হামিদুল হক এ মামলার আসামি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ দেশত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এ ছাড়া জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় রামপুরা ও বনশ্রী এলাকায় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বিজিবির সাবেক কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেদোয়ানুল ইসলাম, মেজর রাফাত-বিন-আলম, পুলিশের সাবেক এডিসি রাশেদুল ইসলাম ও সাবেক ওসি মশিউর রহমানকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। রেদোয়ানুল ও রাফাত সেনা হেফাজতে আছেন, অন্য দুজন পলাতক।
ইএইচপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রণে শেয়ারবাজার, অসহায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে কেডিএস এক্সেসরিজ
- ঘোষণা দিয়েও শেয়ারহোল্ডারদের ডিভিডেন্ড দেয়নি ১৭ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে স্কয়ার টেক্সটাইল
- শেয়ারবাজারে হাহাকার, ৮ দিনে ৪২ হাজার কোটি টাকা গায়েব!
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে মুন্নু এগ্রো
- বস্ত্র খাতের ৮ কোম্পানিতে বেড়েছে প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগ
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব, বিনিয়োগকারীদের আতঙ্কিত না হওয়ার আহ্বান বিএসইসির
- লাফার্জহোলসিমের অন্তর্বর্তীকালিন ডিভিডেন্ড ঘোষণা
- পতন তান্ডবে শেয়ারবাজারে ছোটদের কফিনেও বড় পেরেক!
- লাফার্জ হোলসিমের উচ্চ মুনাফার 'অ্যাগ্রিগেটস' ব্যবসা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শমরিতা হাসপাতাল
- শেয়ারবাজারে সচেতনতা বাড়াতে এবার যুক্ত হচ্ছে মাঠ প্রশাসন
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১৭ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে বিএসআরএম লিমিটেড