ঢাকা, মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর ২০২৫, ৬ কার্তিক ১৪৩২

ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত, তদন্ত চলছে: বেবিচক চেয়ারম্যান

২০২৫ অক্টোবর ২১ ১২:২৬:৪৮

ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত, তদন্ত চলছে: বেবিচক চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক জানিয়েছেন, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে আগুনের সূত্রপাত ইমপোর্ট কুরিয়ার সেকশন থেকে হওয়া হতে পারে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত নয়; তদন্তের পর সুনিশ্চিত কারণ জানা যাবে।

মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বেবিচক সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, আগুনের সময় ১৫টি ফ্লাইট ভিন্ন রুটে পাঠানো হয়েছে। যাত্রীদের বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় আটকে পড়তে হয়েছে, তবে তাদের পরদিন বিকেল ৪টার মধ্যে নির্ধারিত গন্তব্যে পাঠানো হয়েছে।

চেয়ারম্যান আরও জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের নিজস্ব ফায়ার ইউনিট ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে। পরে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের আরও দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আনুমানিক দুপুর ২:১৫ মিনিটে কার্গো টার্মিনালের ইমপোর্ট কার্গো সেকশন থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। প্রথমে ধোঁয়া টাওয়ার থেকে দেখা যায়, এরপর সঙ্গে সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে আসে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী আগুনের সূত্রপাত ইমপোর্ট কার্গো সেকশন থেকে। তবে এটি এখনো তদন্তাধীন বিষয়। একাধিক তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। নির্ভরযোগ্য তথ্য ছাড়া কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না।

মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, আগুনের সময় উত্তর পাশে বিমানের হ্যাঙ্গার এবং দক্ষিণ পাশে মূল টার্মিনাল ভবন ছিল, কিন্তু আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় আগুন সেই অংশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েনি। আল্লাহর রহমতে কোনো প্রাণহানি ঘটেনি।

চেয়ারম্যান জানান, আগুনের সময় উত্তর পাশে বিমানের হ্যাঙ্গার এবং দক্ষিণ পাশে মূল টার্মিনাল ভবন ছিল। তবে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ায় আগুন এই অংশগুলোতে ছড়িয়ে পড়েনি। ধাপে ধাপে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিস উদ্ধার তৎপরতায় যুক্ত হয়। বিমানবাহিনীর একে খন্দকার ঘাঁতি থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে তিনটি ফায়ার ভেহিকল আসে, ২০ মিনিটের মধ্যে বাসার বিমানঘাঁতি থেকে আরও দুটি ভেহিকল যোগ হয়। মোট ৪০টির বেশি ফায়ার ভেহিকল আগুন নেভানোর কাজে অংশ নেয়।

মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিক বলেন, টার্মিনালের ভেতরে থাকা বিমানগুলোকে দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে দিয়েছি। উত্তর ও দক্ষিণ উভয় পাশেই কাট-অফ মেকানিজম ব্যবহার করে আগুন নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়েছে। সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টার ফলেই বড় বিপর্যয় এড়ানো গেছে।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত