ঢাকা, শুক্রবার, ৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মধ্যেও ইসরায়েলি হামলা, গাজায় নি’হত ১১

২০২৫ অক্টোবর ১৯ ১০:৪৭:২৫

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের মধ্যেও ইসরায়েলি হামলা, গাজায় নি’হত ১১

আজন্তর্জাতিক ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় একই পরিবারের ১১ সদস্য প্রাণ হারিয়েছেন। নিহতদের মধ্যে সাত শিশু এবং তিনজন নারী রয়েছেন। এই ঘটনা ঘটে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার মাত্র আট দিন পর।

রোববার (১৯ অক্টোবর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গাজা সিটির জায়তুন এলাকায় আবু শাহবান পরিবারের একটি বেসামরিক গাড়িতে ইসরায়েলি ট্যাংকের গোলা আঘাত হানে। গাড়িটিতে করে পরিবারটি তাদের নিজ বাড়ির অবস্থা দেখার উদ্দেশ্যে যাচ্ছিল।

গাজার সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল বলেন, নিহতদের সতর্ক করা যেত বা অন্যভাবে রক্ষা করা সম্ভব ছিল। কিন্তু যা ঘটেছে, তা প্রমাণ করে যে দখলদার বাহিনী এখনও নিরীহ বেসামরিকদের বিরুদ্ধে রক্তপিপাসু ও নিষ্ঠুর অপরাধ চালাচ্ছে।

ওসিএইচএর (জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক কার্যালয়) সহায়তায় এখন পর্যন্ত নয়জনের মরদেহ উদ্ধার করা গেছে। তবে দুটি শিশুর মরদেহ এখনও নিখোঁজ, কারণ বিস্ফোরণের ফলে তাদের দেহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে।

হামাস এই হামলাকে “গণহত্যা” বলে নিন্দা জানিয়েছে। তারা দাবি করেছে, কোনো কারণ ছাড়া ওই পরিবারের ওপর হামলা করা হয়েছে। হামাস যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ মধ্যস্থতাকারীদের কাছে ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি মানার জন্য চাপ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।

চলমান বন্দি বিনিময় চুক্তির মধ্যেই শনিবার পর্যন্ত ইসরায়েল অন্তত ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। এদিকে খাদ্য ও চিকিৎসাসহ জরুরি সহায়তা প্রবাহও কঠোরভাবে সীমিত রাখা হয়েছে।

জাতিসংঘ সতর্ক করেছে, গাজায় ত্রাণ কনভয়গুলো দুর্ভিক্ষকবলিত এলাকায় পৌঁছাতে হিমশিম খাচ্ছে। গাজার প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ দৈনিক ছয় লিটারেরও কম পানযোগ্য পানি পাচ্ছেন।

বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতি শুরুর পর থেকে গড়ে দৈনিক ৫৬০ টন খাদ্য গাজায় পাঠানো সম্ভব হয়েছে, যা মারাত্মক অপুষ্টি ও দুর্ভিক্ষ রোধের প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।

কেএমএ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত