ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫, ২৯ আশ্বিন ১৪৩২

বিএনপি-জামায়াতের মুখোমুখি অবস্থান, থানা ঘেরাও

২০২৫ অক্টোবর ১৪ ২১:৪৬:২৮

বিএনপি-জামায়াতের মুখোমুখি অবস্থান, থানা ঘেরাও

নিজস্ব প্রতিবেদক: পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী প্রতীক দাঁড়িপাল্লা ঝুলানোকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ঘটনাকে ঘিরে দুই দলের নেতাকর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত হয় উপজেলার চেংঠী হাজরাডাঙ্গা ইউনিয়নের রথবাজার এলাকায়। অভিযোগ রয়েছে, জামায়াতের এক নেতাকর্মীকে অবরুদ্ধ করে রাখার পর সোমবার (১৪ অক্টোবর) মধ্যরাতে দেবীগঞ্জ থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন জামায়াতের নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা থানায় লিখিত অভিযোগও দাখিল করেন।

জামায়াতের দাবি, গত ১০ অক্টোবর বিকেলে রথবাজারে দাঁড়িপাল্লা প্রতীক ঝুলানো নিয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বাধা ও হুমকির মুখে পড়েন ইউনিয়ন জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম। বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ করার পর থেকেই উত্তেজনা বাড়তে থাকে।

জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেন, সোমবার রাতে রথবাজার মসজিদে নামাজ শেষে ইউনিয়ন জামায়াত সভাপতি আবু বক্কর ও সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলামসহ ছয়জনকে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি মাস্টার ডেকে নিয়ে হোটেলে অবরুদ্ধ করে মারধর করেন। পরে খবর পেয়ে অন্যান্য জামায়াত নেতাকর্মীরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

এ ঘটনার পর জামায়াত নেতারা অভিযোগ করেন, বিএনপির হামলার ঘটনায় পুলিশ সহযোগিতা করেনি। তাই শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন পঞ্চগড়ের সভাপতি আবুল বাশার বসুনিয়ার নেতৃত্বে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করা হয়।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিএনপি নেতারা। ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সোহরাব আলী বলেন, সম্প্রতি শিবিরের এক সদস্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে স্বৈরাচারের বাধা উপেক্ষা করে রথবাজারে দাঁড়িপাল্লা উত্তোলন নামে একটি পোস্ট দেয়। আমরা শুধু সেই পোস্টটি মুছে ফেলতে বলেছিলাম। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুটা বাকবিতণ্ডা হয়, কিন্তু কোনো হামলা বা অবরোধের ঘটনা ঘটেনি।

অন্যদিকে জামায়াত নেতা আবুল বাশার বসুনিয়া বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা আমাদের ছয়জনকে চার ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ করে রাখে এবং দুইজনকে পিটিয়ে আহত করে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে হয়। আমরা মামলা করতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি, কিন্তু এখনো তা নথিভুক্ত হয়নি।

দেবীগঞ্জ থানার ওসি সোয়েল রানা জানান, ফেসবুকের মন্তব্য ও দাঁড়িপাল্লা প্রতীক উত্তোলনকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটেছে। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং উভয় পক্ষকে চলে যেতে বলি। পরে জামায়াত নেতাকর্মীরা থানায় অভিযোগ জমা দেন। বিষয়টি তদন্তাধীন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত