ঢাকা, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৮ আশ্বিন ১৪৩২

গাজায় যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিনে জিম্মি মুক্তি শুরু করল হামাস

২০২৫ অক্টোবর ১৩ ১২:১৪:১৯

গাজায় যুদ্ধবিরতির চতুর্থ দিনে জিম্মি মুক্তি শুরু করল হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দীর্ঘ যুদ্ধ ও অচলাবস্থার পর অবশেষে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৮টার কিছু পর গাজা উপত্যকায় আটক থাকা প্রথম দফার সাতজন জিম্মিকে আন্তর্জাতিক রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো বিষয়টি নিশ্চিত করেছে, তবে মুক্তিপ্রাপ্তদের পরিচয় বা নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ বিষয়ে ইসরায়েল সরকার কিংবা সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি আসেনি।

এই জিম্মি বিনিময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের উদ্যোগে প্রণীত যুদ্ধবিরতি ও শান্তি পরিকল্পনার অংশ। গত শুক্রবার গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর চতুর্থ দিনেই শুরু হলো এই মুক্তি প্রক্রিয়া, যা মধ্যপ্রাচ্যের সংকট নিরসনে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে দেখা হচ্ছে।

ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হওয়া এই চুক্তির মূল তিনটি শর্ত হলো—

গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযান বন্ধ করা,

ইসরায়েলি বাহিনীকে নির্দিষ্ট সীমানায় ফিরিয়ে নেওয়া,

এবং উভয় পক্ষের মধ্যে জিম্মি ও বন্দি বিনিময় কার্যক্রম শুরু করা।

এই চুক্তি অনুযায়ী প্রথম ধাপে সাতজন ইসরায়েলি নাগরিক মুক্তি পেয়েছেন।

এদিকে একই সময়ে মিসরের শারম আল-শেখ শহরে শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক শান্তি সম্মেলন। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে ট্রাম্প ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করবেন। বিশ্লেষকদের মতে, এটি গাজা যুদ্ধ বন্ধে এক ঐতিহাসিক কূটনৈতিক পদক্ষেপ হতে পারে।

রোববার দিনভর বন্দি বিনিময় ইস্যুতে হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার অগ্রগতি অব্যাহত থাকলে আজকের মধ্যেই আরও কয়েকজন জিম্মি মুক্তি পেতে পারেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভেতরে প্রবেশ করে হামাসের যোদ্ধারা প্রায় ২৫০ জন ইসরায়েলিকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়। প্রায় দুই বছর পরও বর্তমানে ৪৮ জন জিম্মি গাজায় অবস্থান করছেন বলে জানিয়েছে সংগঠনটি। এর মধ্যে ২০ জন জীবিত, আর বাকি ২৮ জনের মৃত্যুর আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই জিম্মি বিনিময়ের অংশ হিসেবে ইসরায়েল তাদের কারাগারে বন্দি থাকা ১,৯৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন ২৫০ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ও ২২ জন শিশু।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত