ঢাকা, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২

অতিরিক্ত ওরস্যালাইন খেলে বিপদ! জানুন কারা ঝুঁকিতে

২০২৫ অক্টোবর ১৩ ০০:২৯:২৯

অতিরিক্ত ওরস্যালাইন খেলে বিপদ! জানুন কারা ঝুঁকিতে

লাইফস্টাইল ডেস্ক: ওরস্যালাইন বা ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন (ওআরএস) ডায়রিয়া, তাপ বা অতিরিক্ত ঘামের কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতার ক্ষেত্রে একটি জীবন রক্ষাকারী প্রতিকার। এটি গ্লুকোজের সঙ্গে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের মতো প্রয়োজনীয় ইলেকট্রোলাইট পুনরুদ্ধারে কাজ করে শরীরের তরল পদার্থের দ্রুত ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে। তবে, চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অতিরিক্ত বা অপ্রয়োজনীয় ওরস্যালাইন গ্রহণ উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করতে পারে। টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী, ৭ ধরনের মানুষের জন্য ওরস্যালাইন বিপজ্জনক হতে পারে।

ওরস্যালাইন পানের ক্ষতিকর দিক এবং কাদের জন্য বিপজ্জনক:

১. হাইপারনেট্রেমিয়ার ঝুঁকি: অতিরিক্ত ওরস্যালাইন গ্রহণ করলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যেতে পারে, যা হাইপারনেট্রেমিয়া নামে পরিচিত। এর ফলে মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি, খিঁচুনি, বিভ্রান্তি বা মস্তিষ্ক ফোলাভাব দেখা দিতে পারে।

২. ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতা: অতিরিক্ত ওআরএস গ্রহণ সোডিয়াম ও পটাশিয়ামের মতো ইলেকট্রোলাইটের চাপ বাড়ায়, যা শরীরের স্বাভাবিক কার্যকারিতা ব্যাহত করতে পারে। এর লক্ষণগুলোর মধ্যে ক্লান্তি, পেশী দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, বিভ্রান্তি এবং গুরুতর ক্ষেত্রে জীবন হুমকিস্বরূপ জটিলতা অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।

৩. কিডনির উপর চাপ ও পাথর: রক্ত থেকে অতিরিক্ত লবণ পরিশোধনে কিডনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বেশি পরিমাণে ওআরএস গ্রহণ করলে কিডনিকে স্বাভাবিকের থেকে বেশি কাজ করতে হয়, যা দীর্ঘমেয়াদে কিডনির কার্যকারিতা নষ্ট করতে পারে এবং কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

৪. সার্বিক স্বাস্থ্যগত অবনতি: যাদের আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি রোগ বা হৃদরোগের মতো অন্তর্নিহিত রোগ রয়েছে, তাদের জন্য অতিরিক্ত ওরস্যালাইন গ্রহণ বিপজ্জনক। এতে রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, হৃৎপিণ্ডের ওপর চাপ সৃষ্টিসহ অন্যান্য শারীরিক জটিলতা আরও খারাপ হতে পারে।

৫. গরমে বা খেলাধুলার সময় অপব্যবহার: অনেকে মনে করেন, গরমে কাজ করা বা খেলাধুলার সময় অতিরিক্ত ওআরএস গ্রহণ করলে শক্তি বা সুরক্ষা পাওয়া যায়। কিন্তু প্রকৃত ডিহাইড্রেশন না হলে এটি অতিরিক্ত গ্রহণে পেট খারাপ, ডায়রিয়া বা ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য ব্যাহত হতে পারে। এক্ষেত্রে সাধারণ পানি পানই উপযুক্ত।

৬. রক্তে শর্করা বেড়ে যাওয়া: ওরস্যালাইনে গ্লুকোজ থাকে, তাই অতিরিক্ত ওআরএস গ্রহণে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে ডায়াবেটিস বা ইনসুলিন প্রতিরোধী ব্যক্তিদের জন্য এটি ঝুঁকিপূর্ণ।

৭. ওআরএস’র ওপর নির্ভরশীলতা: অনেকেই ওআরএসের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরশীল হয়ে গুরুতর ডায়রিয়া, সংক্রমণ বা অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্যগত জটিলতার ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা নিতে কালক্ষেপণ করেন। ওআরএস চিকিৎসার বিকল্প হতে পারে না; যেকোনো সমস্যা হলে দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের দ্বারস্থ হতে হবে।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত