ঢাকা, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২
তালেবান-ভারত সম্পর্কের উষ্ণতা: ভূ-রাজনীতিতে নতুন মোড়

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারত ও আফগানিস্তানের সম্পর্কের নতুন অধ্যায় খুলে দিতে নয়াদিল্লিতে পা রাখলেন তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। জাতিসংঘের সন্ত্রাসীদের কালো তালিকাভুক্ত এই নেতার সফরকে ঘিরে কূটনৈতিক অঙ্গনে বাড়ছে জল্পনা। বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া এই আট দিনের সফরকে ঘিরে দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক ভারসাম্যে নতুন বার্তা দেখছেন বিশ্লেষকরা।
জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বিশেষ ছাড়ে ভারত সফরের অনুমতি পান মুত্তাকি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল জানিয়েছেন, নিরাপত্তা পরিষদ থেকেই আনুষ্ঠানিক অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সফরের সূচনা হয়েছে বৃহস্পতিবার থেকে।
এই সফর এমন সময় হচ্ছে যখন যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারও ভারতে অবস্থান করছেন। দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই তার প্রথম ভারত সফর। মুম্বাইয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার বৈঠক ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। বাণিজ্য, প্রতিরক্ষা, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতি—দুই দেশের আলোচনায় এই বিষয়গুলোই প্রধান।
অন্যদিকে, ২০২১ সালে আফগানিস্তানে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর এটি আমির খান মুত্তাকির প্রথম ভারত সফর। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে তার সাক্ষাৎ হবে কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়। তবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ও ব্যবসায়ী মহলের সঙ্গে বৈঠক চূড়ান্ত হয়েছে।
তালেবান সরকারকে এখনও আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি ভারত। ২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতায় ফেরার পর দিল্লি কাবুলে দূতাবাস বন্ধ করে দিলেও এক বছর পর মানবিক সহায়তা, বাণিজ্য ও চিকিৎসা সহযোগিতার জন্য একটি ছোট মিশন চালু করে।
ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দু-র প্রতিবেদন অনুসারে, মুত্তাকিকে পূর্ণ কূটনৈতিক প্রটোকলসহ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মান দেওয়া হচ্ছে। ১০ অক্টোবর দিল্লির হায়দরাবাদ হাউসে তার সঙ্গে এস জয়শঙ্করের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
আফগান গণমাধ্যম আমু টিভি-এর তথ্যমতে, মুত্তাকি ভারতের পাশাপাশি রাশিয়া সফরেরও বিশেষ নির্দেশ পেয়েছেন তালেবান নেতা হিবাতুল্লাহ আখুন্দজাদার কাছ থেকে। সম্প্রতি পাকিস্তান সফরের বেশ কয়েকটি পরিকল্পনা বাতিলের পরই ভারত সফরে এসেছেন তিনি।
বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই আগ্রহের পেছনে অন্যতম কারণ পাকিস্তান ও তালেবানের সম্পর্কের টানাপোড়েন। নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক প্রভাব বিস্তারের দিক বিবেচনায় তালেবানের সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক জোরদার করতে চায় দিল্লি।
আফগান সংবাদমাধ্যম তোলো নিউজ জানিয়েছে, মুত্তাকির এই সফরের শীর্ষ আলোচ্য বিষয় তালেবান সরকারের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন। তবে ভারত এখনই সে পথে হাঁটবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। তাদের মতে, পাকিস্তানের সঙ্গে তালেবানের বিরোধ ভারতের জন্য সুযোগ তৈরি করেছে, যা দিল্লি কৌশলগতভাবে কাজে লাগাতে চায়।
রাশিয়া তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিলেও এখনও পাকিস্তানসহ অন্য কোনো দেশ সেই পদক্ষেপ নেয়নি। ফলে মুত্তাকির এই সফর আফগানিস্তানকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন করে প্রতিষ্ঠিত করার কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে।
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশে বনাম হংকং, খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- আজ বাংলাদেশ বনাম হংকং ফুটবল ম্যাচ: কখন, কোথায় ও কিভাবে লাইভ দেখবেন
- বাংলাদেশে বনাম আফগানিস্তান,খেলাটি সরাসরি দেখুন (LIVE)
- শেয়ারবাজারে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিএসইসি চেয়ারম্যানের যুগান্তকারী ঘোষণা
- বাংলাদেশ বনাম ইংল্যান্ড, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ডুবছে ওষুধের দুই কোম্পানি, বিনিয়োকারীদের কপালে চিন্তার ভাজ
- সাত কোম্পানির শেয়ারে কারসাজির গন্ধ!
- RSI এলার্ট: ১০ শেয়ারে বিপদ সংকেত
- ঢাবি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেবে জাপান, আবেদন করবেন যেভাবে
- শেয়ারবাজারের কোম্পানিতে কারসাজির গন্ধ! তদন্তে নেমেছে বিএসইসি
- উৎপাদন বন্ধ চার কোম্পানির শেয়ার নিয়ে সতর্কতা জারি
- জেডে নেমে তিন শেয়ারের ধস, বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব হওয়ার শঙ্কা
- মশিউর সিকিউরিটিজের গ্রাহকদের জন্য জরুরি নির্দেশনা