ঢাকা, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২

রেকর্ড উচ্চতায় আট শেয়ার, বিনিয়োগকারীদের উচ্ছ্বাস

আবু তাহের নয়ন
আবু তাহের নয়ন

সিনিয়র রিপোর্টার

২০২৫ অক্টোবর ০৮ ১৬:৪০:১৫

রেকর্ড উচ্চতায় আট শেয়ার, বিনিয়োগকারীদের উচ্ছ্বাস

আবু তাহের নয়ন: শেয়ারবাজারে নতুন করে গতি পেয়েছে বীমা ও পেট্রোকেমিক্যাল খাতের কিছু শেয়ার। আ জ বুধবার (০৮ অক্টোবর) পতনের বাজারে ৮টি কোম্পানির শেয়ার বছরের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে— সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্স, সিভিও পেট্রো কেমিক্যাল, গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্স, পিপলস ইন্স্যুরেন্স, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স, সাপোর্ট ও সিমটেক্স।স্টকনাও এ তথ্য জানিয়েছে।

সিটি জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। কোম্পানিটির শেয়ার আজ ৭০ টাকা ৪০ পয়সায় লেনদেন হয়, যা বছরের সর্বোচ্চ। দিনশেষে ক্লোজিং হয় ৭০ টাকায়। এক বছরের মধ্যে এই শেয়ারের সর্বনিম্ন দাম ছিল মাত্র ২৮ টাকা। অর্থাৎ, বছরজুড়ে শেয়ারের দাম বেড়েছে দেড়গুণেরও বেশি।

সিভিও পেট্রো কেমিক্যালের শেয়ারেও দেখা গেছে একই উত্তাপ। আজ কোম্পানিটির শেয়ার ২১৩ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়— এটি বছরের সর্বোচ্চ। দিনশেষে ক্লোজিং হয়েছে ২১১ টাকা ২০ পয়সায়। এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন দাম ছিল ৮৬ টাকা ৫০ পয়সা। অর্থাৎ, বিনিয়োগকারীরা এই শেয়ারে উল্লেখযোগ্য রিটার্ন পেয়েছেন।

গ্রীনডেল্টা ইন্স্যুরেন্সও ছিল নজরকাড়া। আজ এর শেয়ার ৫৯ টাকা ৯০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে, যা বছরের সর্বোচ্চ। দিনশেষে ক্লোজিং ৫৮ টাকা ৮০ পয়সায়, বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ৩৭ টাকা। পিপলস ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারও বছরের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়— ৩৮ টাকা ৮০ পয়সা। দিনশেষে ক্লোজিং ৩৬ টাকা ৯০ পয়সায়, এক বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ছিল ২৪ টাকা।

অন্যদিকে, রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্সের শেয়ার আজ ৭৬ টাকা ৫০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে, যা বছরের সর্বোচ্চ। দিনশেষে এটি ক্লোজ হয়েছে ৭২ টাকা ১০ পয়সায়, বছরের সর্বনিম্ন দাম ছিল ৪৭ টাকা ৭০ পয়সা। সাপোর্ট লিমিটেডের শেয়ারও শক্ত অবস্থান ধরে রেখেছে— আজ ৪৫ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়, দিনশেষে ক্লোজিং ৪৪ টাকা ১০ পয়সায়। এক বছরের মধ্যে এর দাম ছিল মাত্র ১৭ টাকা ১০ পয়সা।

এছাড়া, সিমটেক্সের শেয়ারও আজ ২৪ টাকা ১০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে, যা বছরের সর্বোচ্চ। দিনশেষে ক্লোজিং ২৩ টাকা ৮০ পয়সায়, বছরের সর্বনিম্ন ছিল ১৪ টাকা ৪০ পয়সা।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, সাম্প্রতিক এই উত্থান বিনিয়োগকারীদের আস্থার একটি সাময়িক প্রতিফলন হলেও সবগুলো কোম্পানির পেছনে মৌলিক ভিত্তি, ডিভিডেন্ড বা কোম্পানির পারফরম্যান্স তেমন ভূমিকা রাখেনি। বরং বাজারে তৈরি হওয়া স্বল্পমেয়াদি সেন্টিমেন্ট ও জল্পনা-কল্পনাই মধ্যম মূলধনের এসব শেয়ারে আকস্মিক চাহিদা সৃষ্টি করেছে। বিশ্লেষকরা সতর্ক করে বলেন, মৌলিক শক্তি ছাড়া কৃত্রিম সেন্টিমেন্টে তৈরি এই দাম বৃদ্ধির ধারা টেকসই নয় এবং তা বাজারে অস্থিরতা ও সংশোধনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে। বিপরীতে লাভবান হয় একটি চিহ্নিত গোষ্টি, ক্ষতিগ্রস্ত হয় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

এএসএম/

শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত