ঢাকা, শুক্রবার, ১০ অক্টোবর ২০২৫, ২৪ আশ্বিন ১৪৩২

নিরাপদ পানি নিশ্চিতের ৯টি সহজ পদ্ধতি জেনে নিন

২০২৫ অক্টোবর ০৮ ১২:৪৮:৫৫

নিরাপদ পানি নিশ্চিতের ৯টি সহজ পদ্ধতি জেনে নিন

লাইফস্টাইল ডেস্ক: বাংলাদেশে পানির প্রচুর উৎস থাকলেও নিরাপদ পানির অভাব একটি দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে। শহর-গ্রামের নলকূপ, পুকুর ও নদীজলেও ব্যাকটেরিয়া, আর্সেনিক এবং অন্যান্য দূষক উপাদান পাওয়া যায়। এই দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে ডায়রিয়া, টাইফয়েড, হেপাটাইটিসসহ বিভিন্ন পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ছে, যা বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের জন্য মারাত্মক।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও UNICEF-এর তথ্য অনুযায়ী, দেশে প্রায় ৬ কোটি ৮৩ লাখ মানুষ এখনও নিরাপদভাবে প্রক্রিয়াজাত পানি পান করছে না। তাই নিজ ব্যবস্থায় পানি বিশুদ্ধ করা এবং পরিবারের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা অপরিহার্য। ঘরে বসে সহজ কিছু পদ্ধতিতে পানি বিশুদ্ধ করা সম্ভব।

৯টি কার্যকর পানি বিশুদ্ধকরণের পদ্ধতি

১. ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহার: আধুনিক ফিল্টার ব্যাকটেরিয়া, কাদা, বালু, আর্সেনিক ও ক্লোরিন দূর করতে পারে। RO প্রযুক্তি ও কার্বন ফিল্টার যুক্ত ফিল্টার পানিকে স্বচ্ছ ও স্বাদযুক্ত করে।

২. ফুটিয়ে পানি বিশুদ্ধকরণ: পানি কমপক্ষে ৫–১০ মিনিট ফুটালে জীবাণু মারা যায়। শিশু ও বয়স্কদের জন্য এটি অত্যন্ত নিরাপদ। তবে আর্সেনিক বা ভারী ধাতু দূর করা সম্ভব নয়।

৩. ক্লোরিন ট্যাবলেট বা ব্লিচিং লিকুইড: ছোট মাত্রায় ব্যবহার করলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস প্রায় ৯৯% পর্যন্ত মারা যায়। আর্সেনিক বা ভারী ধাতু দূর করা সম্ভব নয়।

৪. ফিটকিরি (Potash Alum): কাদা ও ঝাপসা পানি স্বচ্ছ করতে সাহায্য করে। পানি ২–৩ ঘণ্টা রেখে উপরের স্বচ্ছ পানি ব্যবহার করা যায়। তবে জীবাণু পুরোপুরি দূর করতে পারে না।

৫. সৌর পদ্ধতি (SODIS): স্বচ্ছ বোতলে পানি ভরে ৬–৮ ঘণ্টা সরাসরি রোদে রাখা হলে UV রশ্মি পানি জীবাণুমুক্ত করে।

৬. UV রশ্মি ব্যবহার: আধুনিক UV ডিভাইস ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস ও প্রোটোজোয়া ধ্বংস করে। রাসায়নিক ব্যবহার ছাড়াই পানি নিরাপদ হয়।

৭. আয়োডিন: ১ লিটার পানিতে আয়োডিন দ্রবণ বা ট্যাবলেট মিশিয়ে ৩০ মিনিট রেখে পানি জীবাণুমুক্ত করা যায়। তবে দীর্ঘমেয়াদে বা বেশি পরিমাণে পানি বিশুদ্ধ করতে ব্যবহার করা উচিত নয়।

৮. অ্যাক্টিভেটেড চারকোল: পানি থেকে রঙ, গন্ধ এবং ক্ষতিকারক রাসায়নিক শোষণ করতে সক্ষম। তবে ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দূর করতে অন্য পদ্ধতির সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করা উচিত।

৯. বালু-নুড়ি ফিল্টার: বিভিন্ন স্তরের বালি, নুড়ি ও ছোট পাথরের মাধ্যমে পানি ছাঁকা হয়। বড় কণা, কাদা ও অম্লীয় পদার্থ আটকে যায়। ব্যাকটেরিয়া দূর করতে ফুটানো বা ফিল্টারের পানির সঙ্গে ব্যবহার করা উত্তম।

এই ৯টি পদ্ধতি মিলিয়ে ব্যবহার করলে ঘরে সহজেই নিরাপদ পানি নিশ্চিত করা সম্ভব।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত