ঢাকা, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২

গাজা শান্তি আলোচনা

যুদ্ধ অবসান ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চায় হামাস

২০২৫ অক্টোবর ০৮ ১০:১৭:১৪

যুদ্ধ অবসান ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের নিশ্চয়তা চায় হামাস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা যুদ্ধ নিয়ে মিসরের শারম আল-শেখে চলমান আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ মোড় এসেছে। যুদ্ধের অবসান ও ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে হামাস এখন দৃঢ় নিশ্চয়তা চাইছে। ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন প্রস্তাবকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবারের আলোচনায় মূল ফোকাস ছিল বন্দি বিনিময় ও সেনা প্রত্যাহারের সময়সূচি নির্ধারণ।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গাজা যুদ্ধের দুই বছর পূর্তিতে হোয়াইট হাউসে বক্তব্য দিয়ে ট্রাম্প জানান, “চুক্তির জন্য এখন বাস্তব সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।” মঙ্গলবারের বৈঠকের পর তিনি এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা ফাউজি বারহুম জানান, তাদের আলোচকরা স্পষ্ট করে দিয়েছে— যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে বন্ধ ও দখলদার সেনাবাহিনীর ‘সম্পূর্ণ প্রত্যাহার’ ছাড়া কোনো চুক্তি সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করেন, ইসরায়েল এর আগেও দুই দফা যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করেছে।

আলোচনায় কাতার, মিসর ও তুরস্ক মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে। বুধবার আলোচনায় যোগ দিচ্ছেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুর রহমান, আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্টিভ উইটকফ ও জ্যারেড কুশনার। কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি বলেন, “আমরা আগাম কোনো ধারণা নিয়ে যাই না, সমাধান বের করতে আলোচনা চালাচ্ছি।”

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা যুদ্ধের বার্ষিকীতে বলেন, “এই যুদ্ধ আমাদের অস্তিত্ব ও ভবিষ্যতের জন্য সংগ্রাম।” তিনি যুদ্ধবিরতি প্রসঙ্গে কিছু না বললেও স্পষ্ট করে দেন, হামাসের শাসনের অবসান, বন্দিদের মুক্তি এবং গাজা যেন আর কখনও হুমকি না হয়— এই লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চলবে।

যুদ্ধ-পরবর্তী গাজার ভবিষ্যৎ নিয়েও আলোচনা চলছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ‘বোর্ড অব পিস’ নামে একটি আন্তর্জাতিক প্রশাসনিক সংস্থা গাজার দৈনন্দিন কার্যক্রম তদারক করবে। এতে টনি ব্লেয়ার ও ট্রাম্প নিজেই নেতৃত্ব দেবেন। তবে হামাস জানিয়েছে, তারা গাজার শাসনে অংশ নেবে না, কিন্তু জাতীয় সংস্থার তত্ত্বাবধানে পুনর্গঠন অবিলম্বে শুরু হওয়া উচিত।

এদিকে আলোচনার মধ্যেও ইসরায়েল গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। মঙ্গলবারের হামলায় অন্তত ১০ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন, যার মধ্যে পূর্ব গাজায় এক শিশুও রয়েছে। পুরো যুদ্ধজুড়ে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৬৬ হাজার ৬০০ ছাড়িয়েছে।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত