ঢাকা, বুধবার, ৮ অক্টোবর ২০২৫, ২৩ আশ্বিন ১৪৩২

ইস'রায়েল-হা'মাস প্রথম দিনের শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি

২০২৫ অক্টোবর ০৭ ১০:৪৯:৪৭

ইস'রায়েল-হা'মাস প্রথম দিনের শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মিশরের পর্যটন শহর শারম আল শেখে সোমবার (৬ অক্টোবর) থেকে শুরু হয়েছে ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে পরোক্ষ শান্তি আলোচনা। আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র, মিশর ও কাতারের মধ্যস্থতাকারীরা উভয় পক্ষের মধ্যে দ্রুত শান্তিচুক্তি সম্পন্ন করার চেষ্টা করছেন। লক্ষ্য হলো গাজায় চলমান রক্তপাত বন্ধ করা এবং বন্দি বিনিময় ও মানবিক সহায়তা প্রবেশ নিশ্চিত করা।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবে ইতিমধ্যেই ইসরায়েল সম্মতি জানিয়েছে, হামাসও কিছু প্রস্তাবে একমত হয়েছেন। তবে এখনও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু অমীমাংসিত রয়েছে। প্রথম দিনের বৈঠকে মূলত তিনটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় – বন্দি বিনিময়, যুদ্ধবিরতি এবং গাজায় মানবিক সহায়তা প্রবেশ। হামাসের প্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, ইসরায়েলের অব্যাহত বিমান হামলা বন্দি বিনিময়কে কঠিন করে তুলছে।

হামাসের প্রতিনিধি দলের মধ্যে ছিলেন খালিল আল-হাইয়া ও জাহের জাবারিন, যারা গত মাসে দোহায় ইসরায়েলি হামলায় প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। তারা আলোচনায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করছেন।

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছেন, “প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দ্রুত বন্দি বিনিময় সম্পন্ন করতে চান, যাতে শান্তি পরিকল্পনার বাস্তবায়নের গতি বাড়ানো যায়। ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনি বন্দিদের তালিকা যাচাই করা হচ্ছে।”

ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা একটি ভালো চুক্তির কাছাকাছি। হামাস কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সম্মত হচ্ছে। তবে আমারও কিছু রেড লাইন আছে যা আমি মানবই।”

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন ট্রাম্পের কন্যা ইভানকার কুশনারের স্বামী জ্যারেড কুশনার।

মিশরের সরকারি সংবাদমাধ্যম আল-কাহিরা নিউজ জানিয়েছে, মঙ্গলবার আলোচনার দ্বিতীয় দিন অনুষ্ঠিত হবে। এই দিনটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ হামাসের ইসরায়েল আক্রমণের দুই বছর পূর্ণ হয়েছে, যেখানে ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়েছিল। এরপর থেকে গাজায় অন্তত ৬৭,১৬০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১,৬৯,৬৭৯ জন আহত হয়েছেন।

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে বলেছেন, ট্রাম্পের প্রস্তাব গাজা যুদ্ধের অবসানে গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ এনে দিয়েছে। তিনি বলেন, স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ও বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক প্রক্রিয়া ছাড়া রক্তপাত বন্ধ করা সম্ভব নয়।

পরিশেষে বলা যায়, মিশরে ইসরায়েল-হামাস আলোচনার প্রথম দিন শেষ হয়েছে আশাব্যঞ্জকভাবে। তবে গাজায় রক্তপাত থামেনি; আলোচনার মধ্যেই অন্তত ১০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যার মধ্যে তিনজন মানবিক সহায়তা সরবরাহে নিয়োজিত ছিলেন।

এমজে

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত