ঢাকা, শুক্রবার, ৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৭ আশ্বিন ১৪৩২
রাশিয়ার তেলের আয় দুর্বল করতে চায় ট্রাম্প প্রশাসন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্র রাশিয়ার ভেতরের দূরপাল্লার জ্বালানি অবকাঠামোর লক্ষ্যবস্তু সম্পর্কিত গোয়েন্দা তথ্য ইউক্রেনকে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এর মধ্যে তেল শোধনাগার, পাইপলাইন ও বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। ওয়াশিংটনের এই পদক্ষেপের প্রধান উদ্দেশ্য হলো রাশিয়ার তেলের আয়ের উৎস দুর্বল করা। রয়টার্সের খবর অনুযায়ী, এটি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের নীতিতে প্রথম বড় পরিবর্তন। সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার পরই তিনি এ-সম্পর্কিত নির্দেশনায় স্বাক্ষর করেন।
আগে থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করলেও, এখন তা আরও নির্দিষ্টভাবে দেওয়া হবে, যাতে ইউক্রেন সহজে এসব স্থাপনায় আঘাত হানতে পারে। এমনকি যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটো মিত্রদেরও একই ধরনের তথ্য সহায়তা দিতে বলেছে। ট্রাম্প ইউরোপীয় দেশগুলোকে রাশিয়ার জ্বালানি তেল কেনা বন্ধ করার জন্য চাপ দিচ্ছেন এবং এর বিনিময়ে তিনি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে চাইছেন।
এদিকে, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের থেকে প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার পাল্লার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র চাচ্ছে, যা ইউক্রেন থেকে ছোড়া হলে মস্কোসহ রাশিয়ার বড় অংশে আঘাত হানতে সক্ষম। ইউক্রেন নিজেও 'ফ্ল্যামিঙ্গো' নামের একটি দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি শুরু করেছে, তবে সেগুলোর সংখ্যা এখনও খুব কম।
ট্রাম্পের এই অবস্থান বদল এমন এক সময়ে এসেছে যখন তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন যে, রাশিয়ার অর্থনৈতিক সমস্যা দেখে ইউক্রেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সহায়তায় তাদের দখলকৃত সব এলাকা ফেরত পেতে এবং জয়ী হতে সক্ষম। এটিকে ইউক্রেনের পক্ষে তাঁর সবচেয়ে বড় সমর্থনমূলক মন্তব্য হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে জাতিসংঘে রুশ রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেছেন, ট্রাম্প দ্রুত সমাধান খুঁজলেও এ যুদ্ধে তা সম্ভব নয়। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মন্তব্য করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র দিলেও যুদ্ধক্ষেত্রে বিশেষ পরিবর্তন আসবে না।
রাশিয়ার যুদ্ধের সবচেয়ে বড় অর্থের উৎস হলো তেল ও গ্যাস রপ্তানি, তাই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা এখন এটিকে প্রধান লক্ষ্য বানাচ্ছে। ট্রাম্প ভারতের ওপরও অতিরিক্ত শুল্ক বসাচ্ছেন যেন তারা সস্তায় রুশ তেল কেনা বন্ধ করে, এবং একইভাবে তুরস্ককেও রাশিয়ার তেল কেনা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। জি৭ দেশের অর্থমন্ত্রীরা ঘোষণা দিয়েছেন যে, যেসব দেশ রুশ তেল কিনছে বা নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে তা বিক্রি করছে, তাদের ওপর একসঙ্গে চাপ বাড়ানো হবে।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শেয়ারবাজারের ৮ কোম্পানি
- দুই বছরের ডিভিডেন্ড পেল তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৬ কোম্পানি
- বিএসইসি-ডিএসই’র নাকের ডগায় লোকসানি শেয়ার নিয়ে কারসাজি
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইবনে সিনা ফার্মা
- নয় কোম্পানির শেয়ারে মুভিং এভারেজ,ম্যাকডি, এঙ্গালফিং বাই সিগনাল
- চূড়ান্ত অনুমোদনের পথে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- দু্ই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থনীতির দুই শীর্ষ নেতার কড়া সমালোচনা
- ১৪ প্রতিষ্ঠান রদবদলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা অন্ধকারে, বাড়ছে আতঙ্ক
- উদ্যোক্তা পরিচালকদের বিনিয়োগ বেড়েছে ৪ কোম্পানিতে
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- মুনাফা কমেছে জুতাশিল্পের দুই জায়ান্টের