ঢাকা, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫, ২১ আশ্বিন ১৪৩২

ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনায় বিশ্ব নেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

২০২৫ সেপ্টেম্বর ৩০ ২১:৩০:০৯

ট্রাম্পের গাজা শান্তি পরিকল্পনায় বিশ্ব নেতাদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলা সংঘাত অবসানের লক্ষ্যে প্রণীত এই পরিকল্পনাকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এবং ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকজন নেতা স্বাগত জানিয়েছেন। তবে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত জানায়নি, এবং ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী ও ইসলামিক জিহাদের মতো কিছু পক্ষ থেকে ভিন্নমত পোষণ করা হয়েছে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, তিনি এই পরিকল্পনাকে সমর্থন করেন কারণ এটি যুদ্ধের সব লক্ষ্য পূরণ করবে – জিম্মি মুক্তি, হামাসের সামরিক ক্ষমতা ধ্বংস, রাজনৈতিক শাসনের অবসান এবং গাজাকে ইসরায়েলের জন্য হুমকি মুক্ত করা।

ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ট্রাম্পের "আন্তরিক ও দৃঢ় প্রচেষ্টাকে" স্বাগত জানিয়েছে এবং শান্তির পথে তার সক্ষমতার ওপর আস্থা পুনর্ব্যক্ত করেছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ, জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎস, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি, এবং যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার সকলেই ট্রাম্পের এই উদ্যোগকে প্রশংসা করেছেন এবং হামাসকে পরিকল্পনা মেনে জিম্মি মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান 'কায়া ক্যালাস' এটিকে স্থায়ী শান্তির সুযোগ হিসেবে উল্লেখ করে হামাসের দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

তবে, ইসরায়েলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ এই পরিকল্পনাকে "ঐতিহাসিক সুযোগ" হিসেবে উল্লেখ করলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে এটি "শেষ পর্যন্ত চোখের জলে শেষ হবে" এবং "আমাদের সন্তানরা আবার গাজার বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাধ্য হবে"। তিনি বর্তমান উদযাপনকে "হাস্যকর" বলেও মন্তব্য করেছেন।

গাজার সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল-নাখালা এই পরিকল্পনাকে "গাজা উপত্যকা ধ্বংসের কৌশল" হিসেবে দেখছেন এবং মনে করেন যে ইসরায়েল এর মাধ্যমে যা যুদ্ধে অর্জন করতে পারেনি, তা চাপিয়ে দিতে চাইছে।

এছাড়াও, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, কাতার, মিশর, জর্ডান, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা যুক্তরাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে ইতিবাচক ও গঠনমূলক কাজ করার প্রস্তুতি দেখিয়েছেন, যাতে চুক্তি চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন নিশ্চিত হয়।

জাতিসংঘের মুখপাত্র আলেসান্দ্রা ভেলুচ্চি শান্তি প্রচেষ্টার সব ধরনের মধ্যস্থতাকে স্বাগত জানিয়ে মানবিক সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি যেকোনো শান্তি পরিকল্পনায় সমর্থন দিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন।

এসপি

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত