ঢাকা, সোমবার, ৬ অক্টোবর ২০২৫, ২০ আশ্বিন ১৪৩২
গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের ২০ ধাপের শান্তি পরিকল্পনা
.jpg)
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠিত এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধবিরতি, সকল জিম্মি মুক্তি এবং নতুন প্রশাসনিক কাঠামো তৈরির লক্ষ্যে ২০ দফার বিশদ শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
ট্রাম্পের প্রস্তাবে গাজার পুনর্গঠন ও শান্তি রক্ষার জন্য একটি অন্তর্বর্তীকালীন শাসনব্যবস্থা গঠন করা হবে, যা পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন ট্রাম্প নিজেই।
ট্রাম্প বলেন, “পরিকল্পনাটি কার্যকর হলে গাজায় চলমান যুদ্ধ অবসান ঘটবে এবং ইসরায়েলি সেনারা নির্ধারিত অবস্থানে ফিরে যাবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, এটি আঞ্চলিক মিত্রদের সঙ্গে পরামর্শের মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “আমাদের এই শান্তি নীতি ইতিমধ্যেই মানুষের কাছে প্রশংসিত হয়েছে; তবে হামাস এখনও এটি গ্রহণ করেনি। আশা করছি তারা ইতিবাচক সাড়া দেবে।”
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, উভয় পক্ষ যদি সম্মত হয়, তবে যুদ্ধ সঙ্গে সঙ্গে বন্ধ হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ইসরায়েলি সেনারা নির্ধারিত অবস্থানে ফিরে যাবে এবং সামরিক অভিযান স্থগিত থাকবে। এছাড়া, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সব জিম্মি—বেঁচে থাকা ও মৃত—ফেরত দেওয়া হবে। ইসরায়েল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে ২৫০ জন যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী এবং ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের পর আটক থাকা ১,৭০০ গাজাবাসীকে মুক্তি দিতে। প্রতিটি ইসরায়েলি মৃতদেহের বিনিময়ে ১৫ জন গাজাবাসীর মৃতদেহ ফেরত দেওয়া হবে।
ট্রাম্পের পরিকল্পনায় গাজায় “বোর্ড অব পিস” নামে একটি অস্থায়ী প্রশাসনিক শাসনব্যবস্থা গঠন করা হবে। এর চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন ট্রাম্প নিজেই। বোর্ডে যুক্ত থাকবেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ অন্যান্য আন্তর্জাতিক নেতারা। বোর্ডের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে:
বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়
ফিলিস্তিনি নাগরিক ও আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের নিয়ে প্রশাসনিক কাঠামো তৈরি
মানবিক সহায়তা ও পুনর্গঠন কার্যক্রম তদারকি
হাসপাতাল, স্কুল, বেকারি ও অন্যান্য অবকাঠামোর পুনর্গঠন
পরিকল্পনায় স্পষ্ট করা হয়েছে যে, হামাস বা অন্য কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী বোর্ডে বা প্রশাসনে অংশগ্রহণ করবে না। যারা অস্ত্র ত্যাগ করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে আসবে, তাদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করা হবে। যারা গাজা ছাড়তে চাইবে, তাদের নিরাপদভাবে তৃতীয় দেশে স্থানান্তরের সুযোগ দেওয়া হবে।
ট্রাম্প আরও উল্লেখ করেন, “নেতানিয়াহু স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, তিনি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের বিরোধী। কিছু দেশ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে, তবে তা মূলত দীর্ঘকাল ধরে চলমান সংঘাত ও অচলাবস্থার কারণে।” তিনি আশা প্রকাশ করেন, প্রস্তাবটি কার্যকর হলে গাজার জনগণের কল্যাণ, মানবিক সহায়তা এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে।
গাজার পরিস্থিতি অত্যন্ত নাজুক। ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে প্রায় ৬৬,০০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশই নারী ও শিশু। খাদ্য, পানি ও চিকিৎসার অভাব এবং ধ্বংসস্তূপে পরিণত অবকাঠামো স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে এই পরিকল্পনা এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে শেয়ারবাজারের ৮ কোম্পানি
- আফগানিস্তান বনাম বাংলাদেশ, সরাসরি দেখবেন যেভাবে
- দুই বছরের ডিভিডেন্ড পেল তালিকাভুক্ত কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- নয় কোম্পানির শেয়ারে মুভিং এভারেজ,ম্যাকডি, এঙ্গালফিং বাই সিগনাল
- ‘জেড’ থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে তালিকাভুক্ত কোম্পানি
- RSI এলার্ট: ১০ শেয়ারে বিপদ সংকেত
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইবনে সিনা ফার্মা
- শেয়ারবাজার বিনিয়োগকারীদের প্রতারণার চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস
- সাত কোম্পানির শেয়ারে কারসাজির গন্ধ!
- দু্ই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজার নিয়ে অর্থনীতির দুই শীর্ষ নেতার কড়া সমালোচনা
- ১৪ প্রতিষ্ঠান রদবদলে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীরা অন্ধকারে, বাড়ছে আতঙ্ক
- এডিবি’র ৩০ মিলিয়ন ডলারের ঋণ, এনভয় টেক্সটাইলের অগ্রযাত্রা
- জেডে নেমে তিন শেয়ারের ধস, বিনিয়োগকারীদের নিঃস্ব হওয়ার শঙ্কা