ঢাকা, সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২৭ আশ্বিন ১৪৩২

বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে

মোবারক হোসেন:
মোবারক হোসেন:

সিনিয়র রিপোর্টার

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২৩ ২১:২৭:২০

বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে

মোবারক হোসেন: গত আগস্ট মাসে ০.১০ শতাংশের বেশি বিদেশি বিনিয়োগ কমেছে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ১১ কোম্পানিতে। কোম্পানিগুলো হলো-বৃটিশ অ্যামেরিকান ট্যোবাকো কোম্পানি-বিএটিবিসি, বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, বেক্সিমকো ফার্মা, ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক, এমজেএলবিডি, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ওয়ান ব্যাংক, রেকিট বেনকিজার, রেনেটা এবং শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রজ। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএটিবিসি

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি এবং পরিশোধিত মূলধন ৫৪০ কোটি টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুলাই মাসে ছিল ৩.৭২ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে ০.১৭ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৫৫ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৭২.৯১ শতাংশ, সরকারের কাছে ০.৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে সর্বোচ্চ ১৪.৪১ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৮.৪৯ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৩০০ শতাংশ ক্যাশ।

বিডি থাই অ্যালুমিনিয়াম

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৭ লাখ ৭৫ হাজার ২৫০টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১২৭ কোটি ৭৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুলাই মাসে ছিল ১.৩৪ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে ০.৫৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৭৬ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ২৯.১৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ৯.০৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬১.০০ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ০.২৫ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল।

বেক্সিমকো ফার্মা

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৪৪ কোটি ৬১ লাখ ১২ হাজার ৮৯টি এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৪৬ কোটি ১১ লাখ ২০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুলাই মাসে ছিল ২৭.৫৫ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে ০.২১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৭.৩৪ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে সরকারের কাছে ৩০.১৩ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২৫.১০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৭.৪৩ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৪০ শতাংশ ক্যাশ।

ফার্স্ট সিকিউরিটিজ ইসলামী ব্যাংক

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১২০ কোটি ৮১ লাখ ৩৯ হাজার ৩৭৯টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ২০৮ কোটি ১৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুলাই মাসে ছিল ০.৫৯ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে ০.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.৪৪ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৫.৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২৮.৬২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬৫.০৪ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৫ শতাংশ ক্যাশ ও ৫ শতাংশ স্টক। ২৪ সালে ব্যাংকটি কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি।

এমজেএল বিডি

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৩১ কোটি ৬৭ লাখ ৫২ হাজার ২৭টি এবং পরিশোধিত মূলধন ৩১৬ কোটি ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুলাই মাসে ছিল ২.২৬ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে ০.৩০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১.৯৬ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে সরকারের কাছে ৭১.৫২ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২০.৭৯ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৫.৭৩ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৫২ শতাংশ ক্যাশ।

অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩৮ হাজার ৮৮৬টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৯৯ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুলাই মাসে ছিল ৩৩.৯৬ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে ০.৫৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৩.৪২ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্ত পরিচালকদের কাছে ৩২.৩৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২১.৩২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১২.৮৮ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ১০ শতাংশ ক্যাশ।

ওয়ান ব্যাংক

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১০৬ কোটি ৫৮ লাখ ২১ হাজার ৮৮৭টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১ হাজার ৬৫ কোটি ৮২ লাখ ২০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুলাই মাসে ছিল ০.৩০ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে ০.১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.১৫ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৩০.৯৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ৩৪.১৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৩৪.৭৮ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৩.৫০ শতাংশ ক্যাশ ও ৩.৫০ শতাংশ স্টক। ২৪ সালে ব্যাংকটি কোনো ডিভিডেন্ড দেয়নি।

রেকিট বেনকিজার

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ৪৭ লাখ ২৫ হাজার এবং পরিশোধিত মূলধন ৪ কোটি ৭২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুলাই মাসে ছিল ০.২০ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে ০.১০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ০.১০ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৮২.৯৬ শতাংশ, সরকারের কাছে ৩.৭৭ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ৬.৩২ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৬.৮৫ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৩৩৩০ শতাংশ ক্যাশ।

রেনেটা

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১১ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৪৯০টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১১৪ কোটি ৬৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুলাই মাসে ছিল ১৯.৪৩ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে ০.৫২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১৮.৯১ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের শেয়ার ৫১.২৯ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২২.৪০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭.৪০ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ৯২ শতাংশ ক্যাশ।

শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ

কোম্পানিটির শেয়ার সংখ্যা ১৫ কোটি ৪০ লাখ ৪৬ হাজার ৪৭৩টি এবং পরিশোধিত মূলধন ১৫৪ কোটি ৪ লাখ ৬০ হাজার টাকা। মোট শেয়ারের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে জুলাই মাসে ছিল ৫.৭৪ শতাংশ, যা আগস্ট মাসে ০.৯৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪.৭৯ শতাংশে। আলোচ্য সময়ে বাকি শেয়ারের মধ্যে সরকারের কাছে ৫১.৪৮ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে রয়েছে সর্বোচ্চ ২৭.২৮ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৬.৪৫ শতাংশ শেয়ার।

সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরের জন্য ডিভিডেন্ড দিয়েছে ১ শতাংশ ক্যাশ।

এএসএম/

শেয়ারবাজারের বিশ্লেষণ ও ইনসাইড স্টোরি পেতে আমাদের পেজ ফলো করুন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত