ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০ আশ্বিন ১৪৩২

“সাশ্রয়ী জ্বালানি ব্যবস্থায় মনোযোগের সময় এসেছে”

২০২৫ সেপ্টেম্বর ২০ ১২:৩৩:৪৪

“সাশ্রয়ী জ্বালানি ব্যবস্থায় মনোযোগের সময় এসেছে”

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশকে টেকসই উন্নয়নের পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য এখনই প্রয়োজন পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী জ্বালানি ব্যবস্থার দিকে সক্রিয় অগ্রগতি। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এই বার্তা দিয়েছেন, উল্লেখ করে যে এটি দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অপরিহার্য।

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের মাধ্যমে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাতে অ্যানথ্রোপোসিন ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান কার্ল পেজ ও তার সহকর্মীদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠকে এই বিষয়ে তিনি বিস্তারিত মন্তব্য করেছেন।

ড. ইউনূস বলেন, “বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ ও জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ দীর্ঘমেয়াদে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভর করতে পারে না। এখন সময় এসেছে বিকল্প, পরিচ্ছন্ন জ্বালানি ব্যবস্থার দিকে মনোযোগ দেওয়ার, যার মধ্যে বৃহৎ পরিসরে সৌরবিদ্যুৎ স্থাপন অন্যতম।”

গুগলের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজের ভাই কার্ল পেজ জানান, নতুন প্রজন্মের পারমাণবিক প্রযুক্তি এবং হাইব্রিড সিস্টেমগুলো নির্ভরযোগ্য, শূন্য-কার্বন বিদ্যুৎ সরবরাহের ক্ষেত্রে সক্ষম। তিনি জোর দেন, বার্জ-ভিত্তিক পারমাণবিক চুল্লিগুলি সাশ্রয়ী, কম রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন এবং বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান শিল্প খাতকে দীর্ঘমেয়াদে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম।

পেজ আরও বলেন, “পারমাণবিক শক্তি এখন আর বিশ্বব্যাংক বা অন্যান্য বড় উন্নয়ন অর্থায়ন সংস্থার জন্য নিষিদ্ধ বিষয় নয়। ইন্দোনেশিয়া ইতোমধ্যেই ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা মেটাতে এই প্রযুক্তি গ্রহণ করেছে।”

তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশের উদ্ভাবনী শক্তি দেশটিকে পরিচ্ছন্ন জ্বালানি রূপান্তরে নেতৃত্ব দিতে সক্ষম। এর সুফল হবে কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জ্বালানির দাম স্থিতিশীল রাখা এবং শিল্প খাতের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি। পেজ আরও বলেন, বাংলাদেশ উদীয়মান প্রযুক্তির জন্য কৌশলগত কেন্দ্র হতে পারে এবং পারমাণবিক উদ্ভাবনে শান্তিপূর্ণ নেতৃত্বের ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে পারে।

অধ্যাপক ইউনূস জানান, সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার একটি নতুন জাতীয় বিদ্যুৎ নীতি প্রণয়ন করেছে। এতে সৌরবিদ্যুতের গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানোকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। তবে তিনি উল্লেখ করেন, পারমাণবিক বিকল্প নেওয়ার আগে অবশ্যই কঠোর গবেষণা ও সম্ভাব্যতা যাচাই অপরিহার্য।

তিনি বলেন, “আমরা প্রতিশ্রুতিশীল প্রযুক্তির সম্ভাবনা অনুসন্ধান করব। তবে এর জন্য গভীর গবেষণা জরুরি। কোনো সন্দেহ নেই—বাংলাদেশকে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা দ্রুত হ্রাস করতে হবে।”

সভায় উপস্থিত ছিলেন—বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এবং সরকারের সিনিয়র সচিব ও এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ প্রমুখ।

ইএইচপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত

ঢাবিতে সীরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঢাবিতে সীরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার উদ্যোগে সীরাত মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটায় ঢাবির সামাজিক... বিস্তারিত