ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩ আশ্বিন ১৪৩২

হাসিনার বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের অবশিষ্ট সাক্ষ্য আজ

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৮ ০৮:৫৪:৫৬

হাসিনার বিরুদ্ধে নাহিদ ইসলামের অবশিষ্ট সাক্ষ্য আজ

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ চলমান মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আজ (বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর) অবশিষ্ট সাক্ষ্য দেবেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন প্যানেল এ সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন।

এর আগে গতকাল (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নাহিদের আংশিক সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। কিন্তু শেষ না হওয়ায় তা আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। আজকের কার্যক্রমে নাহিদ ইসলাম তার জবানবন্দি শেষ করার পর আসামিপক্ষের রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন তাকে জেরা করবেন।

একইসঙ্গে বুধবার সকালে শুরু হওয়া বিচারকাজে দ্বিতীয় দিনের মতো দৈনিক আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে জেরা করেন স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবী। চলমান এ মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের এটি ১৮তম দিন, যেখানে এ পর্যন্ত ৪৭ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রসিকিউশনের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্য শেষ হলেই সাক্ষ্যগ্রহণের পর্ব সমাপ্ত ঘোষণা করা হবে।

এর আগে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে ২ সেপ্টেম্বর সাক্ষ্য দেন। ৪ সেপ্টেম্বর তার জেরা শেষ হয়। সাক্ষ্যে তিনি জানান, গত বছরের জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনা ও কামালের নির্দেশেই গণহত্যা সংঘটিত হয়েছে। তিনি এজন্য ক্ষমাও চান। এছাড়া আন্দোলন চলাকালে হত্যাযজ্ঞ ও নৃশংসতার নানা তথ্যও ট্রাইব্যুনালে তুলে ধরেন।

সাক্ষীদের বয়ানে উঠে এসেছে, জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় সারাদেশে ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়। শহীদ পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা এ ঘটনায় শেখ হাসিনা ও কামালসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই ট্রাইব্যুনাল আনুষ্ঠানিকভাবে শেখ হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। প্রসিকিউশন মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনে তাদের বিরুদ্ধে।

আনুষ্ঠানিক অভিযোগপত্রটি মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যেখানে দুই হাজার ১৮ পৃষ্ঠা তথ্যসূত্র, চার হাজার পাঁচ পৃষ্ঠা দালিলিক প্রমাণ, এবং দুই হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠা শহীদদের তালিকার বিবরণ। মামলার সাক্ষী তালিকায় রয়েছেন ৮১ জন। এর আগে গত ১২ মে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা এ প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেয়।

এমজে

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত