ঢাকা, বুধবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২ আশ্বিন ১৪৩২
'শেখ হাসিনার শাসনামলে কোনো দুর্নীতি-হত্যাকাণ্ড ঘটেনি'

নিজস্ব প্রতিবেদক: আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন দাবি করেছেন যে, শেখ হাসিনার শাসনামলে কোনো চরম দুর্নীতি কিংবা হত্যাকাণ্ড ঘটেনি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় দিনের মতো মাহমুদুর রহমানকে জেরা করার সময় তিনি এই দাবি করেন।
মামলার ৪৬তম সাক্ষী হিসেবে টানা দুদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন মাহমুদুর রহমান। তার জবানবন্দিতে তিনি আওয়ামী দুঃশাসনের পটভূমি, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যাসহ গত ১৬ বছরের গুম-খুনের বর্ণনা দেন। তবে জেরায় তার এসব বক্তব্য অসঙ্গত দাবি করেন আইনজীবী আমির হোসেন।
জেরার একপর্যায়ে সাক্ষীর বক্তব্য অস্বীকার করে আমির হোসেন বলেন, শেখ হাসিনার শাসনামলকে ১৫ বছরের 'চরম দুর্নীতি পরায়ণ ও মানবতাবিরোধী অপরাধ শাসন' হিসেবে চিত্রিত করার কোনো ভিত্তি নেই। তার মতে, এ ধরনের মন্তব্য শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, কেননা বাংলাদেশে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ হয়নি। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা ও কামাল কোনো হত্যাকাণ্ডের নির্দেশ দেননি এবং এ কারণে তারা 'কমান্ড রেসপনসিবিলিটি'র আওতাভুক্ত নন। তার যুক্তি, এ মামলার সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো অন্যায় সংঘটিত হয়নি, ফলে 'কমান্ড রেসপনসিবিলিটি' প্রসঙ্গ এখানে অবান্তর।
স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী জুলাই অভ্যুত্থানের সময় কোনো হত্যাকাণ্ড ঘটেনি বলেও যুক্তি দেন। তাই হত্যাকাণ্ড প্রতিরোধে নির্দেশ দেওয়া কিংবা পদক্ষেপ নেওয়ার প্রশ্নও ওঠে না। অর্থাৎ যেহেতু কোনো প্রকার হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়নি, সেহেতু হত্যাকাণ্ড বন্ধের নির্দেশ প্রদান বা উদ্যোগ গ্রহণ অবান্তর। এছাড়াও তিনি গত ১৬ বছরে কোনো ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়নি বলেও দাবি করেন।
জেরা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আমির হোসেন বলেন, "জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে আমার মক্কেল সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। তাদের নির্দেশেও এসব হয়নি।"
এদিন বেলা পৌনে ১১টা থেকে ট্রাইব্যুনালের বিচারকাজ শুরু হয়। দুপুর দেড়টায় মাহমুদুর রহমানের জেরা শেষ হয়। বিরতির পর দ্বিতীয়য়ার্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম নায়ক নাহিদ ইসলামের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। শেখ হাসিনার এ মামলায় ১৭তম দিনের মতো ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাভেলোর শেয়ার কারসাজি: তিন বিও অ্যাকাউন্টের লেনদেন স্থগিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- একাদশে ভর্তি: চতুর্থ ধাপে আবেদনের সুযোগ
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- মালিকানায় পরিবর্তন আসছে ইয়াকিন পলিমারের
- এক শেয়ারের জোরেই সবুজে ফিরল শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড বৃদ্ধির আলোচনায় জ্বালানি খাতের ১১ কোম্পানি
- শেয়ার কারসাজিতে শ্যালক–দুলাভাইর দেড় কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত