ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১ আশ্বিন ১৪৩২

দেশের রিজার্ভ ৩০.৮৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত

২০২৫ সেপ্টেম্বর ১৬ ১৯:৫৩:২৩

দেশের রিজার্ভ ৩০.৮৯ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সামান্য বৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত দেশের বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ প্রায় ৩০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ পদ্ধতি অনুসারে হিসাব করলে এই অঙ্ক দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে। গত রোববার রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার (বিপিএম-৬ হিসাবে ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার)।

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) পাওনা ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল। তখন বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার। বর্তমান বৃদ্ধি সেই ঘাটতি পূরণে সাহায্য করেছে।

বিশ্ব মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এখন প্রায় সীমান্তরেখা অতিক্রম করে কিছুটা ভালো অবস্থায় আছে। প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ থেকে আসা ডলারই মূলত রিজার্ভ গড়ে তোলে। অন্যদিকে, আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ, বিদেশি কর্মীদের পারিশ্রমিক, শিক্ষা ও ভ্রমণ খরচসহ নানা খাতে ডলার ব্যয় হওয়ায় রিজার্ভ হ্রাস পায়।

দেশে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বৈধ পথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্বস্তি ফিরে এসেছে। এর ফলে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়নি, উল্টো বাজার থেকে ডলার কিনতে পেরেছে। গত ৪ সেপ্টেম্বর পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং ২ সেপ্টেম্বর আটটি ব্যাংক থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স, যা আগস্টে কিছুটা কমে ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলারে দাঁড়ায়। আগের ২০২৪-২৫ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা পূর্ববর্তী বছরের (২০২৩-২৪) তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি ছিল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৩ সালের জুনে রিজার্ভ ছিল ১৫ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও রিজার্ভ রেকর্ড গড়ে ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট সর্বোচ্চ ৪৮ দশমিক ০৪ বিলিয়ন ডলারে উঠেছিল। এরপর ডলার সংকট দেখা দেওয়ায় রিজার্ভ ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে। বর্তমান বৃদ্ধি কিছুটা হলেও এই ধারায় ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে।

এসপি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত