ঢাকা, সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩১ ভাদ্র ১৪৩২
সালমান রহমানের বিরুদ্ধে শেয়ার কারসাজির নতুন অভিযোগ: তদন্তে বিএসইসি

নিজস্ব প্রতিবেদক: বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার সালমান এফ রহমানের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যাংক ঋণ ব্যবহার করে শেয়ার কারসাজি ও অর্থপাচারের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন পাওয়ার পর বিএসইসি চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর ওই প্রতিবেদনে শেয়ার কারসাজির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। বিএফআইইউ দেখতে পেয়েছে, সালমান এফ রহমানের সঙ্গে যুক্ত আটটি কোম্পানি এবং ৩৪ জন ব্যক্তি শেয়ারবাজারে ৬ হাজার ৭৯৭ কোটি টাকারও বেশি বিনিয়োগ করেছেন।
বিএসইসি-এর মুখপাত্র আবুল কালাম এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে জানান, অস্তিত্বহীন কোম্পানির নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে, যার মধ্যে আইএফআইসি ব্যাংকও রয়েছে, বিপুল অঙ্কের ঋণ নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় সালমান এফ রহমান আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন। এই ঋণগুলো আটটি কোম্পানির অ্যাকাউন্টে জমা হয় এবং পরবর্তীতে সেই অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা হয়।
বিএসইসি-এর তদন্ত আদেশে বলা হয়েছে, এই বিনিয়োগের উদ্দেশ্য নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। বিএফআইইউ-এর ধারণা, এই বিনিয়োগগুলো বেক্সিমকো গ্রুপ এবং অন্যান্য কোম্পানির শেয়ারের দাম কৃত্রিমভাবে বাড়ানোর জন্য করা হয়েছিল।
তদন্তের আওতায় আসা কোম্পানিগুলো হলো: অ্যাবসোলুট কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাপোলো ট্রেডিং লিমিটেড, বেক্সিমকো হোল্ডিংস লিমিটেড, জুপিটার বিজনেস লিমিটেড, নিউ ঢাকা ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ক্রিসেন্ট লিমিটেড, সেন্ট্রাল ল্যান্ড অ্যান্ড বিল্ডিং লিমিটেড এবং ট্রেড নেক্সট ইন্টারনাল লিমিটেড।
তদন্ত কমিটি বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক এবং আইএফআইসি আমার বন্ডের মাধ্যমে সংগৃহীত বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও খতিয়ে দেখবে।
২০২১ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে বেক্সিমকো গ্রিন সুকুক বন্ড ইস্যু করে ৩ হাজার কোটি টাকা এবং ২০২৪ সালে আইএফআইসি গ্যারান্টেড শ্রীপুর টাউনশিপ জিরো কুপন বন্ড ইস্যু করে আরও ১ হাজার কোটি টাকা সংগ্রহ করা হয়। যদিও আইএফআইসি ব্যাংক শুধু শ্রীপুর টাউনশিপ বন্ডের গ্যারান্টার ছিল, কিন্তু বেক্সিমকো এটিকে 'আইএফআইসি আমার বন্ড' নামে বিজ্ঞাপন দিয়েছিল, যা বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করার একটি কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে।
বিএফআইইউ-এর বরাতে বিএসইসি মুখপাত্র বলেন, সালমান এফ রহমান শেয়ারবাজার, তহবিলের ট্রাস্টি এবং ব্যাংকিং ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিনিয়োগকারীদের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এই তদন্তটি শেয়ারবাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবে মনে করাহচ্ছে।
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সরকারের সিদ্ধান্তে ডুবছে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের স্বপ্ন?
- ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড কার্যকারিতায় বিএসইসির নতুন উদ্যোগ
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- শেয়ারবাজারে প্রতারণা ঠেকাতে মাঠে নামছে গোয়েন্দা সংস্থা
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- আরএসআই বিশ্লেষণে সর্বোচ্চ সতর্ক সংকেত পাঁচ শেয়ারে
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- শেয়ারবাজারে ধারাবাহিক মুনাফা চান? জেনে নিন ৫ মন্ত্র
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান
- শেয়ারবাজারে প্রসারিত হচ্ছে টেকসই বিনিয়োগের নতুন দিগন্ত
- ধস কাটিয়ে অবশেষে শেয়ারবাজারে উত্থানের স্রোত
- রেকর্ড ডেটে শেয়ার লেনদেন চালুর পরিকল্পনা ডিএসইর