ঢাকা, রবিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৫, ২৫ কার্তিক ১৪৩২
১২১ বার পেছাল প্রতিবেদন
১৩ বছরেও শেষ হয়নি সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত
নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৩ বছর পার হলেও সাগর সারোয়ার ও মেহেরুন রুনির হত্যার তদন্ত এখনও সম্পূর্ণ হয়নি। প্রতিটি পদক্ষেপে নতুন জটিলতা, প্রক্রিয়াগত বিলম্ব এবং নানা বাহিনীর দায়িত্ব পরিবর্তনের কারণে মামলার রহস্যের পর্দা উঠানো এখনো সম্ভব হয়নি। এর ফলে আবারও পিছিয়ে গেছে সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময়সীমা। আদালত নতুন তারিখ হিসেবে ৩০ নভেম্বর ধার্য করেছেন। মামলার তদন্তে অগ্রগতি কম থাকায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেছে এবং তদন্তকারী কর্মকর্তাকে দ্রুত অগ্রগতি দেখানোর নির্দেশ দিয়েছেন।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে তদন্ত কর্মকর্তা ও পিবিআইয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল হক সময়মতো প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেননি। এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত নতুন তারিখ নির্ধারণ করেন।
শুনানির শুরুতে বিচারক জানতে চান, "আপনি কি সিআইডিতে?" তখন তদন্ত কর্মকর্তা জানান, "না স্যার, আমি পিবিআইতে আছি।" এরপর বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, "তদন্তে অগ্রগতি কতদূর?" তদন্ত কর্মকর্তা জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়েছিল। এরপর তার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও ডিএনএ বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন। দুই জনের মিক্সড ডিএনএর তথ্য পাওয়া গেছে, তবে শনাক্ত করা যাচ্ছে না। এসব কারণে প্রতিবেদনের দাখিল দেরি হচ্ছে।
বিচারক বলেন, "যা বুঝলাম, আগে যে তদন্ত কর্মকর্তাও বলেছেন একই কথা। আদালত তদন্তের অগ্রগতিতে অসন্তুষ্ট। আপনাকে আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে।" এর আগে ১১ আগস্টও তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
মামলার আসামি মোট আটজন। নিহত রুনির বন্ধু তানভীর রহমান, বাড়ির নিরাপত্তারক্ষী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুণ, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। রিমান্ডে নেওয়া হলেও কেউ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেননি।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সারোয়ার ও এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে হত্যা হন। পরদিন ভোরে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত রুনির ভাই নওশের আলম রোমান শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিকভাবে তদন্তভার ওই থানার এক এসআইয়ের কাছে থাকলেও চার দিন পর ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বিষয়টি গ্রহণ করে। দুই মাসেরও বেশি সময় তদন্তের পরও রহস্য উদঘাটনে ব্যর্থ হয় ডিবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে ১৮ এপ্রিল তদন্তভার র্যাবকে হস্তান্তর করা হয়।
গত বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট বিভিন্ন বাহিনীর অভিজ্ঞ তদন্ত কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ দেন। তদন্ত শেষ করতে ছয় মাসের সময়সীমা ধার্য করা হয় এবং র্যাবকে তদন্ত থেকে সরানোরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপর ১৭ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করে চার সদস্যের উচ্চপর্যায়ের টাস্কফোর্স কমিটি গঠন করা হয়।
এমজে
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ইপিএস প্রকাশ করেছে ইনফরমেশন সার্ভিসেস নেটওয়ার্ক
- নতুন মার্জিন নীতিতে কারা সুবিধা পাবেন, কারা হারাবেন?
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: কবে, কখন, কোথায়-যেভবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- নিয়ন্ত্রক সংস্থার টানাপোড়েনে বিপর্যস্ত ব্যাংক ও শেয়ারবাজার
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ৬ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- হরলিকসের জোয়ারে ইউনিলিভারের মুনাফায় দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন
- ব্রাজিল বনাম হন্ডুরাস: ৭ গোলে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল