ঢাকা, শুক্রবার, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২১ ভাদ্র ১৪৩২

ইউক্রেনকে সহায়তায় ২৬ দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ম্যাক্রোঁ

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৫ ০৮:৫৫:৪৯

ইউক্রেনকে সহায়তায় ২৬ দেশ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: ম্যাক্রোঁ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধ থামাতে নতুন আন্তর্জাতিক উদ্যোগে একজোট হচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, অস্ত্রবিরতি কার্যকর হওয়ার পরপরই স্থল, নৌ বা আকাশপথে সেনা পাঠাতে প্রস্তুতি নিয়েছে অন্তত ২৬টি দেশ।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) ৩৫ দেশের অংশগ্রহণে আয়োজিত ‘কোয়ালিশন অব দ্য উইলিং’ বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন ম্যাক্রোঁ। তিনি আরও জানান, এ উদ্যোগে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনও কয়েক দিনের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ খবর আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, ওয়াশিংটনের সহায়তা সম্ভবত সরাসরি সেনা পাঠানোর বদলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে আসবে। এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। জেলেনস্কি “ইউক্রেনের আকাশসীমার সর্বোচ্চ সুরক্ষা” চেয়েছেন।

তবে গত মাসে আলাস্কায় ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকের পর থেকে যুদ্ধ শেষ করার সম্ভাব্য চুক্তির আশা ক্ষীণ হয়ে গেছে। ট্রাম্প বরং ইউরোপীয় ইউনিয়নকে রাশিয়ার তেল-গ্যাস আমদানি বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।

ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাবের বরাত দিয়ে হোয়াইট হাউস জানায়, মস্কোর যুদ্ধযন্ত্রকে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল করার জন্য এই পদক্ষেপ অপরিহার্য। ইতোমধ্যেই ইইউ ঘোষণা দিয়েছে, ২০২৭ সালের মধ্যে রাশিয়া থেকে সব ধরনের তেল ও গ্যাস আমদানি বন্ধ করবে। তবু গত এক বছরে ইউরোপ রাশিয়ার কাছ থেকে অন্তত ১.১ বিলিয়ন ইউরো মূল্যের জ্বালানি কিনেছে।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার বলেন, পশ্চিমা মিত্ররা ইউক্রেনের প্রতি অটল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন পেলে রাশিয়াকে যুদ্ধ থামাতে আরও চাপ দেওয়া সম্ভব হবে।

তবে ইউরোপীয় কূটনীতিকরা সতর্ক করে বলেছেন, প্রকাশ্যে সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিলে সেটি পুতিনের পশ্চিমবিরোধী প্রচারণাকে আরও উসকে দিতে পারে। অন্যদিকে মস্কোর দাবি, পশ্চিমা সেনা মোতায়েন করা যাবে না; বরং অস্ত্রবিরতির গ্যারান্টারদের মধ্যে রাশিয়ার থাকতে হবে—যা কিয়েভ ও তার মিত্ররা প্রত্যাখ্যান করেছে।

এদিকে, উত্তর ইউক্রেনে রুশ হামলায় মাইন অপসারণে নিয়োজিত দুইজন নিহত হওয়ার ঘটনার পর নতুন করে উত্তেজনা বেড়েছে। ম্যাক্রোঁর অভিযোগ, অস্ত্রবিরতির আলোচনা চললেও রাশিয়া নিয়মিত সেনা বাড়াচ্ছে।

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ জানিয়েছেন, জেলেনস্কির অংশগ্রহণে একটি শীর্ষ বৈঠকে প্রথম অগ্রাধিকার হবে অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করা। এর পরেই আসবে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা নিশ্চয়তা।

এমজে

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত