ঢাকা, মঙ্গলবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৮ ভাদ্র ১৪৩২
শেয়ার কেনার সুযোগ হারালেন ন্যাশনাল টি’র চেয়ারম্যান

নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়াত্ব প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল টি কোম্পানির (এনটিসি) চেয়ারম্যান মমুন রশীদকে অবিক্রিত প্লেসমেন্ট শেয়ার কেনার অনুমতি দেয়নি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি বোর্ডের এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা দেখা দিলে নিয়ন্ত্রক সংস্থা মৌখিকভাবে কোম্পানিকে এ নির্দেশনা দেয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএসইসি’র মুখপাত্র মো. আবুল কালাম।
রবিবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) প্রকাশিত নোটিসে এনটিসি জানায়, চেয়ারম্যান মামুন রশীদ অবিক্রিত অংশ থেকে ২ লাখ ৫০ হাজার শেয়ার কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন। তিনি গত বছর আগস্টে কমিশন পুনর্গঠনের পর এনটিসির স্বাধীন পরিচালক হিসেবে যোগ দেন এবং চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে চেয়ারম্যান হন।
বিএসইসি’র মুখপাত্র জানান, প্লেসমেন্ট শেয়ারের রেকর্ড ডেট ১৫ মে ২০২৩-এর আগে প্রকাশিত তালিকায় যেসব শেয়ারহোল্ডারের নাম রয়েছে, কেবল তারাই এই শেয়ারের অধিকারী। তবে বিদ্যমান কোনো শেয়ারহোল্ডার চাইলে তার শেয়ার অন্যকে নিতে দিতে পারেন—সে ক্ষেত্রে বিষয়টি বিএসইসি অনুমোদিত প্লেসমেন্ট শেয়ার অফার ডকুমেন্টে উল্লেখ থাকতে হবে। বর্তমান চেয়ারম্যান ওই ডকুমেন্টে ছিলেন না, ফলে তাঁকে শেয়ারহোল্ডার হিসেবে গণ্য করার সুযোগ নেই।
আজ মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) ডিএসই-তে এনটিসির প্রতিটি শেয়ারের দর ছিল ২০৮ টাকা ২০ পয়সা, যেখানে প্লেসমেন্ট শেয়ারের অফার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছিল ১১৯ টাকা ৫৩ পয়সা।
২০২২ সালের অক্টোবরে এক ইজিএম-এ এনটিসি সিদ্ধান্ত নেয়, বিদ্যমান পরিচালকরা অবিক্রিত প্লেসমেন্ট শেয়ার কিনতে পারবেন। কোম্পানিটি মূলত ব্যাংক ঋণ পরিশোধ, কার্যকরী মূলধনের ঘাটতি মেটানো এবং বাগান ও কারখানা উন্নয়নের জন্য ২ কোটি ৩৪ লাখ প্লেসমেন্ট শেয়ার ছাড়ে। এর মধ্যে সরকার, আইসিবি ও সাধারণ বিমা করপোরেশন ১ কোটি ২৪ লাখ শেয়ার, স্পন্সর-পরিচালকরা ১৩ লাখ ৮০ হাজার শেয়ার এবং সাধারণ শেয়ারহোল্ডাররা প্রায় ৯৬ লাখ শেয়ারের জন্য বরাদ্দ পান।
তবে চার দফা সময় বাড়ানোর পরও শেয়ার সাবস্ক্রিপশন সম্পূর্ণ হয়নি। সর্বশেষ আবেদনকাল ২০২৫ সালের ১৩ আগস্ট শেষ হয়, তাতেও কয়েক লাখ শেয়ার অবিক্রিত থেকে যায়।
অর্থসংকটে থাকা এনটিসির পেইড-আপ ক্যাপিটাল এখনো মাত্র ১১ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, যেখানে বিএসইসি’র নির্দেশনা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত কোম্পানির ন্যূনতম পেইড-আপ ক্যাপিটাল থাকতে হবে ৩০ কোটি টাকা।
এরই মধ্যে বকেয়া মজুরির কারণে শ্রমিক অসন্তোষে কোম্পানির উৎপাদন বন্ধ রয়েছে। মূলধন ঘাটতির কারণে সময়মতো গাছ রোপণ হয়নি, পুরনো যন্ত্রপাতির কারণে চা পাতার মানও নষ্ট হচ্ছে। বর্তমানে কোম্পানি নিলামে প্রতি কেজি চা বিক্রি করছে ১৮০ টাকায়, যেখানে উৎপাদন ব্যয় প্রায় ২৫০ টাকা, ফলে প্রতিবছর লোকসান গুনতে হচ্ছে এনটিসিকে।
এ সংক্রান্ত সংবাদ
ন্যাশনাল টি: শ্রমিকদের বেতন নেই, পরিচালকের সুবিধা দ্বিগুণ
এএসএম/
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের শেয়ারবাজার
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে