ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২
শেখ হাসিনার মামলায় ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক: জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ (রাজসাক্ষী হিসেবে) তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ চলমান রয়েছে। মামলার দশম দিনে আরও ছয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণের মধ্য দিয়ে মোট ৩৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা সম্পন্ন হয়েছে। পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করা হয়েছে।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল এই দিন ধার্য করেন।
এদিন সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ চলে, মাঝে কিছুক্ষণ বিরতি দেওয়া হয়। ট্রাইব্যুনালে আজ জবানবন্দি দেওয়া সাক্ষীরা হলেন- সিলেটের স্থানীয় সাংবাদিক মো. মোহিদ হোসেন, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির লিটন, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. হাসানাৎ আল মতিন, ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের ট্রমা ম্যানেজমেন্ট সেন্টারে কর্মরত ওয়ারেন্ট অফিসার তারেক নাসরুল্লাহ, জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসনের (নিটোর) সহকারী পরিচালক ডা. মো. রশিদুল আলম এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র স্টোর অফিসার ডা. রাহাদ বিন কাশেম।
জবানবন্দি শেষে শেখ হাসিনা ও কামালের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন সাক্ষীদের জেরা করেন। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, মঈনুল করিম, তারেক আবদুল্লাহসহ অন্যান্য প্রসিকিউটরবৃন্দ।
এর আগে, গত ২৬ আগস্ট নবম দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়, যেখানে পাঁচজন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছিলেন। তারা হলেন- স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মফিজুর রহমান, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মনিরুল ইসলাম, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডা. মোস্তাক আহমেদ, ফেনীর ব্যবসায়ী আহত নাসির উদ্দিন এবং শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের নানা মো. সাঈদুর রহমান। এখন পর্যন্ত মোট ২৯ জন সাক্ষী জবানবন্দি দিয়েছেন।
২৫ আগস্ট অষ্টম দিনে পাঁচজন এবং ২৪ আগস্ট সপ্তম দিনে তিনজন সাক্ষী জবানবন্দি রেকর্ড করেন ট্রাইব্যুনাল। ২০ আগস্ট ষষ্ঠ দিনে চারজন, ১৮ আগস্ট পঞ্চম দিনে তিনজন এবং ১৭ আগস্ট চারজন প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। ৬ আগস্ট রিনা মুর্মু ও সাংবাদিক একেএম মঈনুল হক এবং ৪ আগস্ট পঙ্গু হওয়া শিক্ষার্থী আবদুল্লাহ আল ইমরান ও দিনমজুর চোখ হারানো পারভীনও সাক্ষ্য দিয়েছেন। গত ৩ আগস্ট মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলার সূচনা বক্তব্যের পর প্রথম সাক্ষী হিসেবে আহত খোকন চন্দ্র বর্মণ নিজের সঙ্গে ঘটে যাওয়া বীভৎস বর্ণনা তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনও আসামি হিসেবে রয়েছেন, যিনি নিজের দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হয়েছেন। তার উপস্থিতিতেই সাক্ষীরা জবানবন্দি দিচ্ছেন।
এর আগে, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। এই মামলায় তাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট আট হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার, যার মধ্যে তথ্যসূত্র, জব্দতালিকা, দালিলিক প্রমাণাদি এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। সাক্ষী হিসেবে ৮১ জনকে রাখা হয়েছে। গত ১২ মে চিফ প্রসিকিউটরের কাছে এই অভিযোগের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তারা।
এসপি
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- তিন শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কবার্তা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে