ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ৮ কার্তিক ১৪৩২

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানির গতি বাড়াতে রাজনৈতিক দলগুলোর আবেদন

২০২৫ আগস্ট ২১ ১২:০৭:১৬

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের রিভিউ শুনানির গতি বাড়াতে রাজনৈতিক দলগুলোর আবেদন

তত্ত্বাবধায়ক সরকার সংক্রান্ত রিভিউ আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য সব রাজনৈতিক দল আপিল বিভাগে আবেদন করেছেন।

এই বিষয়ে শুনানির তারিখ আগামী মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আইনজীবী শিশির মনির এদিন আপিল বিভাগকে বলেন, সামনে কোর্টে বড় ছুটি থাকবে কিন্তু একটা বিষয়ে সমাধান প্রয়োজন। সেটি হলো তত্ত্বাবধায়কের রিভিউ শুনানি এখনও শেষ হয়নি। এটা লিস্টে এলেও শুনানি হয়নি।

পরে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, আমরা তো সর্বোচ্চ লিভ দিতে পারব শুনানি শেষ করতে পারব না। এ সময় আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ‘মাই লর্ড, এটা দিলেই আপাতত কাজ হবে কিছুটা।’

একপর্যায়ে আগামী ২৬ আগস্ট এ বিষয়ে শুনানির দিন ঠিক করেন আপিল বিভাগ।

২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী (তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা) বাতিলের সিদ্ধান্ত দেন যা হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করার পর প্রদান করা হয়। পরে গত বছরের অক্টোবরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন।

এর আগে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সংগঠনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি এই রায় পুনর্বিবেচনার আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে বাকি চারজন হলেন—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া এবং জাহরা রহমান। এছাড়া, আপিল বিভাগের ওই রায়ের পুনর্বিবেচনার জন্য গত বছরের ২৩ অক্টোবর আবেদন করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার।

২০০৮ সালে দেশে সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে, যেখানে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন অর্জন করে ক্ষমতায় আসে। কিন্তু ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করা হয়।

এরপর দলীয় সরকারের অধীনে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলেও, প্রতিটি নির্বাচনই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। এগুলিকে ‘একতরফা’, ‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার’, ‘রাতের ভোটের’ বা ‘ডামি নির্বাচন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।

গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানের পর আওয়ামী সরকার পতনের পর, ভবিষ্যতে সত্যিকারের জনমতের ভিত্তিতে নির্বাচিত সরকার গঠনের লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়টি আবার আলোচনায় এসেছে। এ প্রসঙ্গে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অভূতপূর্ব এক ঐকমত্য গড়ে উঠেছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত