ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২
হাসিনার আইনজীবীকে প্রশ্ন: ‘আমি সন্তান হারিয়েছি, আর কী জিজ্ঞেস করবেন?’
জুলাই-আগস্টের ছাত্র-গণআন্দোলনে নিহত শেখ মেহেদী হাসান জুনায়েদের মা সোনিয়া জামাল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন। বুধবার (২০ আগস্ট) সাক্ষ্য দেওয়ার এক পর্যায়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি আসামিপক্ষের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, "আমার একমাত্র ছেলে শহীদ হয়েছে। আমি সন্তান হারিয়েছি, আপনি আর কী জিজ্ঞেস করবেন?"
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেলে ১৬ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সোনিয়া জামাল তার জবানবন্দি দেন।
সাক্ষ্যে সোনিয়া জামাল বলেন, তার ১৪ বছর বয়সী ছেলে জুনায়েদ গেন্ডারিয়া উইল পাওয়ার স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র এবং ১০ পারার হাফেজ ছিল। ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট চানখারপুলে পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়। তিনি জানান, ওইদিন সকালে জুনায়েদ তার বন্ধু সিয়ামকে নিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার কথা বলে বের হয়। পরে তিনিও তার মেয়েকে নিয়ে মতিঝিলে আন্দোলনে যোগ দিতে যান।
তিনি বলেন, "দুপুর ১টার দিকে আমার ছোট ভাইয়ের ফোন পেয়ে জানতে পারি, জুনায়েদ মাথায় ব্যথা পেয়েছে। বাসায় ফিরে ভাশুরের কক্ষে গিয়ে দেখি আমার ছেলেকে বিছানায় শুইয়ে রাখা হয়েছে। তার চোখের বাম পাশে গুলি লেগে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে গেছে। রক্তে ভেসে যাচ্ছিল সব। ওই দৃশ্য দেখে আমি কান্নায় ভেঙে পড়ি।" এই বর্ণনা দিতে গিয়ে তিনি আদালতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন।
সোনিয়া জামাল আরও জানান, হাসপাতালে নেওয়ার আগেই জুনায়েদ মারা যায়। তার বন্ধু সিয়াম ও আব্দুর রউফ তার মরদেহ বাসায় নিয়ে আসে। পরে জুরাইন কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের নির্দেশে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ডিএমপির পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান ও যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমারের নির্দেশে এডিসি আক্তারুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা গুলি চালিয়ে তার ছেলেসহ আরও কয়েকজনকে হত্যা করে।
সাক্ষ্যগ্রহণের পর রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আমির হোসেন তাকে জেরা শুরু করলে সোনিয়া জামাল আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন এবং সন্তান হারানোর যন্ত্রণা তুলে ধরে আইনজীবীকে উপরোক্ত প্রশ্নটি করেন। জবাবে আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, "আমরাও মর্মাহত। কিন্তু পেশার জায়গা থেকে আমাদের কিছু প্রশ্ন করতেই হয়।"
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- নতুন মার্জিন নীতিতে কারা সুবিধা পাবেন, কারা হারাবেন?
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: কবে, কখন, কোথায়-যেভবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- বাংলাদেশ বনাম ভারত: খেলাটি কবে, কোথায়, কখন-জানুন সময়সূচি
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ৬ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- শিক্ষাবৃত্তি: প্রতি মাসে পাবে ৩ হাজার টাকা, আবেদন করবেন যেভাবে
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার শূন্য ঘোষণা নিয়ে যা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ব্রাজিল বনাম হন্ডুরাস: ৭ গোলে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল