ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২
ঢাবিতে ঔপনিবেশিক স্বাধীনতার ৭৮ বছর উদ্যাপন
-1.jpg)
ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল মুক্তির ৭৮তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) "ফিরে দেখা আজাদি" শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে খ্যাতিমান চিন্তক ও বুদ্ধিজীবীগণ ১৯৪৭ সালের দেশভাগের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন।
সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৪৭ সালের এই দিনে ভারতবর্ষের মুসলমানরা দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র অর্জন করেছিল, যা ছিল দুই শত বছরের ঔপনিবেশিক শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তির দিন। কিন্তু আমাদেরকে সেই ইতিহাস থেকে বিচ্ছিন্ন রাখা হয়েছে। অথচ আমাদের শেখানো হয়- হাজার বছরের বাঙালির ইতিহাস শুরু হয়েছে বায়ান্ন থেকে।
লেখক ও বুদ্ধিজীবী ডা. ফাহমিদ-উর-রহমান বলেন, "আজকের দিনে আমরা শুধু রাজনৈতিক স্বাধীনতা পাইনি, মুসলিম জাতিসত্তার স্বীকৃতি পেয়েছিলাম। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পেছনে বাংলার মুসলমানদের অবদান ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"
তিনি ইতিহাসবিদ মোহর আলীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ১৭৫৭ সালের পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন শুধু নবাব পরিবারের পতন ছিল না, বরং ইউরোপের কাছে সমগ্র এশিয়ার পরাজয় ছিল।
ডা. ফাহমিদ-উর-রহমান আরও বলেন, "৪৭-কে যারা অস্বীকার করে, তারা আসলে বাংলাদেশের জন্মকেও অস্বীকার করে। দ্বিজাতিতত্ত্বকে শুধু জিন্নাহ বা নবাব সলিমুল্লাহর দায় হিসেবে দেখা ভুল। উনিশ শতকের হিন্দু মেলা, শিবাজী উৎসব, অনুশীলন, যুগান্তরের মতো হিন্দুয়ানী সংস্কৃতিগুলোও দ্বিজাতিতত্ত্বের বীজ বপন করেছিল।"
আলোচনা সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. বিলাল হোসাইন বলেন, "ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলায় শুধু রাজনৈতিক দখলই নেয়নি, বরং হিন্দু জমিদারদের সঙ্গে মিলে একটি 'দ্বৈত উপনিবেশ' তৈরি করেছিল। ছিয়াত্তরের মন্বন্তরসহ নানা দুর্ভিক্ষ ছিল তাদের শোষণনীতির ফল।"
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. নুরুল ইসলাম মনজুর মনে করেন, কায়েদে আজম মুহাম্মদ আলী জিন্নাহকে ইতিহাসে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। "জিন্নাহ, আল্লামা ইকবালরা ছিলেন মুসলমানদের রাজনৈতিক মুক্তির ধারাবাহিক সংগ্রামের মূল প্রেরণা," বলেন তিনি।
বক্তারা আরও বলেন, ১৯৪৭ সালের আজাদির ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক ভিত্তির ওপরই দাঁড়িয়ে আছে স্বাধীন বাংলাদেশ। এছাড়াও, বাংলাদেশের ইতিহাসকে ‘ফিকশন’ বা পক্ষপাতদুষ্ট বর্ণনা থেকে মুক্ত করার আহ্বান এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সব ধরনের আধিপত্যবাদ ও হেজিমনির বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তারা।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- দুই কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা