ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ আগস্ট ২০২৫, ৩০ শ্রাবণ ১৪৩২
বছরজুড়ে সমালোচনার খোলামেলা জবাব দিলেন প্রেসসচিব

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রেসসচিব হিসেবে নিজের এক বছরের যাত্রাকে ‘অবিশ্বাস্য এবং চমৎকার’ বলে অভিহিত করেছেন শফিকুল আলম।
বুধবার (১৩ আগস্ট) রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) সেটির বাংলা অনুবাদ শেয়ার করেন। এই পদে থাকাকালীন নিজের কাজের মূল্যায়ন, ব্যক্তিগত ত্যাগ এবং বিভিন্ন সমালোচনার খোলামেলা জবাব দিয়েছেন তিনি।
শফিকুল আলম তার ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন, একটি বিদেশি বার্তা সংস্থার ব্যুরো চিফের দায়িত্ব থেকে প্রতিদিনের আলোচনার কেন্দ্রে আসাটা তার জন্য এক অসাধারণ যাত্রা ছিল। তিনি বলেন, "গত এক বছরে আমি প্রতিদিন নতুন কিছু শিখেছি। কাজটি গোড়া থেকে শুরু করতে হয়েছে এবং তা আস্তে আস্তে গড়ে তুলতে হয়েছে। আগে যেহেতু এটি মূলত আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব ছিল।"
নিজের কাজের মূল্যায়ন করতে গিয়ে তিনি বলেন, "আমার কাজ কি আমি ভালো করেছি? আমি করেছি -আমি বিশ্বাস করি। আমার কিছু বন্ধু যদিও অন্য কিছু মনে করে। আমি তাদের মতামতকে সম্মান করি।" তবে তিনি স্বীকার করেন যে তার কিছু ভুলও ছিল, বিশেষ করে সময় ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, "মাঝে মাঝে আমি প্রতিক্রিয়া জানাতে খুব দেরি করেছি। মাঝে মাঝে আমার প্রতিক্রিয়া জানানো উচিত হয়নি।"
এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনে যে প্রভাব পড়েছে সে কথাও তুলে ধরেন শফিকুল আলম। তিনি বলেন, "বছরটি কঠিন ছিল, আমার স্ত্রী, সন্তান এবং ভাইবোনদের জন্য। আমার অবস্থানের জন্য আসা চাপ তাদের সহ্য করতে হয়েছে।" এই সময়ে তিনি বন্ধু ও সাংবাদিকসহ অনেককে হারিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন।
কিছু তরুণ সাংবাদিকের সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, তারা তাকে "স্পিন ডাক্তার" হিসেবে দেখলেও তিনি নিজে তা মনে করেন না। শফিকুল আলমের ভাষায়, "আমি স্পিন করিনি। আমি সাদাকে 'সাদা' আর কালোকে 'কালো' বলেছি। ব্যাখ্যার মধ্যে পার্থক্য মানে এই নয় যে এক পক্ষ মিথ্যা বলছে।"
গত এক বছরে যে ঘটনায় সমালোচিত হয়েছেন, সেগুলোকে প্রশ্নে রেখে উত্তর দেন শফিকুল আলম।
*হাসিনার ডাস্টবিনে ময়লা ফেলার কি প্রয়োজন ছিল?
হ্যাঁ, ছিল। তিনি ছিলেন একজন নির্মম স্বৈরশাসক। জুলাই পরবর্তী বাংলাদেশে তাকে তার জায়গা দেখানো দরকার ছিল।
*আপনি কি বামপন্থীদের ‘বনসাই’ বলেছেন?
না, আমি তা বলিনি। আমি বলেছি ওরা বাংলাদেশকে বনসাই করে রাখতে চায়।
*আপনি কি আপনার দায়িত্বের পর রাজনীতিতে যোগ দেবেন?
না, আবার সাংবাদিকতায় ফিরব ইনশাআল্লাহ।
*লন্ডনে আওয়ামীলীগ সমর্থকরা কি আপনাকে আক্রমণ করেছিলেন?
না। চাথাম হাউজের বাইরে কিঞ্চিৎ চিৎকার করেছিল ।এটা ছিল পশ্চিমা ধাঁচের প্রতিবাদ । তারা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকাকালীন এরকম প্রতিবাদ করতে পারত। খুন করার চেয়ে ঘেউ ঘেউ করা ভালো।
*আপনি সরকারের মুখপাত্র নাকি প্রেস সচিব?
হোয়াইট হাউসের ক্লাসিক মডেল অনুযায়ী, একজন প্রেস সচিবই রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব এবং সরকারের মুখপাত্রও। প্রেস সচিবের ভূমিকা ওভারল্যাপ হয়।
*“স্টারমার কানাডা ভ্রমণ করছে” মন্তব্য কি ইচ্ছাকৃত ছিল?
না, প্রধান উপদেষ্টার যুক্তরাজ্য সফরের প্রথম দিনে একজন ব্রিটিশ এমপি জানিয়েছিলেন যে তিনি সন্দেহ করছেন যে স্টারমার হয়ত কানাডায়। আমি প্রেসকে বলেছিলাম যে সে ‘সম্ভবত’ কানাডায় । ধারাভাষ্যকাররা ‘সম্ভবত’ বাদ দিয়েছিল। আমার ভুল হয়েছিল, কথা বলার আগে চেক করে নেওয়া উচিৎ ছিল।
*আপনি কি কাজটি উপভোগ করছেন?
একেবারে। আমার জন্য এটি একটি বিশাল শিক্ষা সফর ছিল।
*আপনি কি চাপে আছেন?
না, তবে ৩৬ ঘণ্টায় দিন হলে আমার জন্য ভালো হতো।
*আপনি আপনার সরকারের কর্মক্ষমতা কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
এ++। সংস্কার চলছে, ট্রায়াল দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। এখন মনোযোগ সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের দিকে।
*আপনি আপনার প্রেস উইংকে কীভাবে রেট করেন?
পথ প্রদর্শক। ভবিষ্যতের প্রেস উইংয়ের জন্য একটি উচ্চ মানদণ্ড স্থাপন করা গেছে।
*আপনি কি এখন ধনী?
না, আমার সঞ্চয় এর একটি ভাল অংশ শেষ হয়ে গেছে।
*আপনার সবচেয়ে বড় চিন্তার বিষয়?
লাইভ ব্রিফিং বা টকশোতে ভুল কিছু বলে ফেলা— যেখানে কোনও উপায় নেই কথাটি ফিরিয়ে নেওয়ার।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড দিতে পারছে না বস্ত্র খাতের ১৩ কোম্পানি
- মার্জিন ঋণে মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ডে বিনিয়োগ করা যাবে না
- শেয়ারবাজারের ৬ ব্যাংকের রেকর্ড মুনাফা, ৫ ব্যাংকের লোকসান
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৭ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- ১২ আগস্ট : শেয়ারবাজারের সেরা ৯ খবর
- মার্জিন ঋণ নিয়ে গুজব: ফের অস্থির শেয়ারবাজার
- ডিএসইর সতর্কবার্তার জালে দুর্বল দুই কোম্পানির শেয়ার
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- সামিটের বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কিনছে আরব আমিরাতের কোম্পানি
- বিসিএসে স্বতন্ত্র বিভাগে অন্য বিভাগ অন্তর্ভুক্তির প্রতিবাদে ঢাবিতে বিক্ষোভ
- রবির অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তের মুখে গ্রামীণফোন
- টানা পতনেও শেয়ারবাজারে পুনরুজ্জীবনের সংকেত
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের নতুন কমিটির অভিষেক শনিবার
- চলতি সপ্তাহে ৬ কোম্পানির ডিভিডেন্ড অনুমোদন