ঢাকা, শনিবার, ৯ আগস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

সাংবাদিক তুহিন হত্যা: ১৫ দিনের মধ্যে চার্জশিটের আশ্বাস

ডুয়া নিউজ- জাতীয়
২০২৫ আগস্ট ০৯ ১৬:৪৪:২৩
সাংবাদিক তুহিন হত্যা: ১৫ দিনের মধ্যে চার্জশিটের আশ্বাস

গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করার আশ্বাস দিয়েছেন গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. নাজমুল করিম খান। একই সঙ্গে, সাংবাদিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারার ব্যর্থতা স্বীকার করে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং নিহতের পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

শনিবার (৯ আগস্ট) দুপুরে জিএমপি সদর দপ্তরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। কমিশনার বলেন, "সাংবাদিক হত্যার দায় আমরা এড়াতে পারি না। আমাদের ব্যর্থতা ও জনবল স্বল্পতা রয়েছে। যে ঘটনাটি ঘটেছে, তার জন্য আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।" অপরাধ দমনে জনগণের সম্পৃক্ততা ও সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

ঘটনার বিবরণে পুলিশ কমিশনার জানান, চক্রটি প্রথমে বাদশা মিয়া নামের এক ব্যক্তিকে 'হানি ট্র্যাপ'-এ ফেলে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি বুঝতে পেরে বাদশা মিয়া চক্রের সদস্য গোলাপিকে ঘুষি মারলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ৫-৬ জন সহযোগী চাপাতি নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। এই দৃশ্য ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন।

অপরাধের প্রমাণসহ ভিডিও ধারণ করতে দেখে ফেলায় আসামিরা তুহিনের ওপর চড়াও হয়। তারা ভিডিও কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে এবং তাকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে তুহিন একটি চায়ের দোকানে আশ্রয় নিলেও তাকে সেখান থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে এনে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়।

জিএমপি কমিশনার জানান, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে জড়িত আটজনের মধ্যে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- প্রধান আসামি মিজান ওরফে কেটু মিজান (৩৫), তার স্ত্রী গোলাপি (২৫), মো. স্বাধীন (২৮), আল আমিন (২১), শাহজালাল (৩২), মো. ফয়সাল হাসান (২৩) এবং সুমন। পালিয়ে থাকা অপর আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা একটি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। প্রধান আসামি কেটু মিজানের নামে ১৫টি, শাহজালালের নামে ৮টি এবং অন্য আসামিদের নামেও একাধিক মামলা রয়েছে।

পুলিশ কমিশনার বলেন, "আমাদের কাছে সিসিটিভি ফুটেজ, প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীসহ সমস্ত তথ্যপ্রমাণ রয়েছে। আমরা আশা করি দ্রুততম সময়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।"

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাতে গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় 'দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ' পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আসাদুজ্জামান তুহিনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় নিহত তুহিনের ভাই এবং অপর ভুক্তভোগী বাদশা মিয়ার ভাই বাদী হয়ে বাসন থানায় দুটি মামলা দায়ের করেছেন।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত