ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২
সিদ্ধান্তের দুয়ারে জাতীয় ঐকমত্য: আলোচনায় রাজনীতি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন আগামী সপ্তাহে আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন ও সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের পদ্ধতি নির্ধারণ করতে। আজ শুক্রবার জাতীয় সংসদের এলডি হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
তিনি বলেন, “ঐকমত্যের ভিত্তিতে রচিত এবং প্রত্যাশিত স্বাক্ষরিত সনদের বাধ্যবাধকতা নিশ্চিত করা এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি কী হবে তা রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে নির্ধারণ করা প্রয়োজন। সেই লক্ষ্যে কমিশন বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেও আবার বৈঠকে বসবে।”
ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে আরো জানানো হয়, প্রায় সাড়ে পাঁচ মাসের সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তির দিনে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়, যাতে আলোচনার সার্বিক অগ্রগতি জানানো যায়।
আলী রীয়াজ বলেন, “গত দুই পর্বের আলোচনায় একটি কাঙ্ক্ষিত জাতীয় সনদ প্রণয়নের লক্ষ্যে তাৎপর্যপূর্ণ সংখ্যক সংস্কার প্রস্তাবে রাজনৈতিক ঐকমত্য সম্ভব হয়েছে। আমরা আশাবাদী, এই প্রক্রিয়ায় স্বল্প সময়ের মধ্যে একটি উপযুক্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হবে।”
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ১৫ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে কাজ শুরু করে। ফেব্রুয়ারির শেষে ছয়টি সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন সব রাজনৈতিক দলের কাছে পাঠানো হয়। এরপর ৩৮টি দল ও জোটের কাছে ১৬৬টি গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশের স্প্রেডশিট পাঠানো হয় মতামতের জন্য।
এই সুপারিশগুলোর মধ্যে ছিল সংবিধান সংস্কার (৭০টি), নির্বাচন সংস্কার (২৭টি), বিচার বিভাগ (২৩টি), জনপ্রশাসন (২৬টি) এবং দুর্নীতি দমন কমিশন (২৭টি) সংক্রান্ত প্রস্তাব।
প্রথম পর্বের আলোচনায় ৩৫টি রাজনৈতিক দল ও জোট তাদের মতামত কমিশনের কাছে পাঠায়। ২০ মার্চ থেকে ১৯ মে পর্যন্ত ৩২টি দল ও জোটের সঙ্গে ৪৪টি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ৬২টি বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য অর্জিত হয়।
দ্বিতীয় পর্বে ২০টি গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ১১টি বিষয়ে সব দলের সমর্থনে জাতীয় ঐকমত্য এবং ৯টি বিষয়ে অধিকাংশ দলের মতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিছু বিষয়ে কিছু দলের ভিন্নমতও কমিশনের নথিতে সংরক্ষিত থাকবে।
কমিশন জানায়, সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়া অন্য পাঁচটি কমিশনের দ্রুত বাস্তবায়নযোগ্য সুপারিশ ইতোমধ্যে সরকারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সবশেষ ৩ আগস্ট সংসদ ভবনের সম্মেলন কক্ষে কমিশনের সদস্যদের বৈঠকে আলোচ্য বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা হয়। সেই সভায় সিদ্ধান্ত হয়, কমিশন পর্যায়ক্রমে বিশেষজ্ঞ ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাবে এবং বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- নতুন মার্জিন নীতিতে কারা সুবিধা পাবেন, কারা হারাবেন?
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: কবে, কখন, কোথায়-যেভবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ৬ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- শিক্ষাবৃত্তি: প্রতি মাসে পাবে ৩ হাজার টাকা, আবেদন করবেন যেভাবে
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার শূন্য ঘোষণা নিয়ে যা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৪৪ কোম্পানির ইপিএস
- ব্রাজিল বনাম হন্ডুরাস: ৭ গোলে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল