ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ আগস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২
জনগণই সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায়: সালাহউদ্দিন

আসন্ন সংসদ নির্বাচনে জনগণ ও সেনাবাহিনীই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, জনগণের প্রত্যাশা যখন একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে থাকে, তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা গৌণ হয়ে পড়ে এবং ভোটারদের মানসিকতাই মুখ্য হয়ে ওঠে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, সামনের দিনে জনগণই স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করে ইতিহাস সৃষ্টি করবে।
বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, "আমি মনে করি, জনগণই এবার সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন নিশ্চিত করতে চায়, এটা তাদের প্রত্যাশা। সুতরাং যখন জনগণের প্রত্যাশা এরকম হবে যে, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু, সুন্দর একটা নির্বাচন অনুষ্ঠান করা এবং নিজেদের ভোটাধিকার উৎসবের মতো করে প্রদান করা, সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা গৌণ হবে।"
নির্বাচনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুলিশের বর্তমান কাঠামো রাতারাতি পরিবর্তন করা সম্ভব না হলেও তাদের নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে রাখতে হবে। এর সঙ্গে বিজিবি, আনসারের মতো অন্যান্য বাহিনীও থাকবে। তবে তিনি বিশেষভাবে সেনাবাহিনীর ভূমিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, "সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে সেনাবাহিনী। সরকার সম্ভবত এক লাখ সেনা সদস্য মোতায়েনের পরিকল্পনা করছে।"
বিএনপি সশস্ত্র বাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংজ্ঞায় অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে বলেও তিনি জানান।
নির্বাচন কমিশন ও আইন সংস্কারের বিষয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সবার মতামতের ভিত্তিতেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছিল। নির্বাচন কমিশন ও বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া বিভিন্ন সংস্কার প্রস্তাবের কাজ চলছে, যার জন্য সংবিধান পরিবর্তনের প্রয়োজন নেই। তিনি আরও উল্লেখ করেন, প্রতি আদমশুমারির পর বিশেষজ্ঞ কমিটির মাধ্যমে সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের একটি প্রস্তাবে বিএনপি সম্মত হয়েছে।
সব দলের সঙ্গে বিএনপির আলোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, বিএনপি একটি মধ্যপন্থি দল এবং দেশের সব রাজনৈতিক শক্তির সঙ্গে আলোচনা করতে আগ্রহী। তিনি বলেন, "আমরা দেশের রাজনীতিতে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাই, যাতে আদর্শিক পার্থক্য থাকলেও জাতীয় স্বার্থে সবাই এক টেবিলে বসতে পারে।"
ইসলামী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই দলগুলো দেশের রাজনীতির একটি অংশের প্রতিনিধিত্ব করে এবং তাদের সঙ্গে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিচালনায় সমঝোতার ভিত্তিতেই আইন প্রণয়ন করা উচিত।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ভারতে ঢাবির দুই ছাত্রীর ছবি নিয়ে তোলপাড়, ক্ষোভ
- শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্র ও বহুজাতিক ১৫ কোম্পানি
- স্কয়ার ফার্মার বাজার মূলধনে নতুন মাইলফলক
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ৭ প্রতিষ্ঠান
- ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফিরেছে আর্থিক খাতের কোম্পানি
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ক্যাশ ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- সর্বোচ্চ উচ্চতায় ১৭ কোম্পানির শেয়ার
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ১২ প্রতিষ্ঠানের ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- গেস্ট হাউজ থেকে সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহ উদ্ধার
- অস্বাভাবিক শেয়ার দাম: ডিএসইর সতর্কবার্তা জারি
- ‘মুজিব’স ব্লান্ডার্স’: নেপথ্যের ষড়যন্ত্র উন্মোচন
- ৩ আগস্টের আগাম বার্তায় উত্তাপ ছড়াচ্ছে এনসিপি
- ‘৪ আগস্ট রাতেই হাসিনা পতনের পরিকল্পনায় শিবির নেতা সিবগাতুল্লাহ’
- চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে দুই কোম্পানির বাজিমাত