ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ২৭ কার্তিক ১৪৩২
ভোটের চূড়ান্ত ঘোষণা আসবে যেদিন
সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বাংলাদেশের ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করা হয়েছে। আগামী বছরের (২০২৬) ফেব্রুয়ারি মাসেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই ঘোষণা দেন, যা দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে প্রাণের সঞ্চার করেছে।
প্রধান উপদেষ্টার এই ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি), জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই ঘোষণাকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এর মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটবে এবং গণতন্ত্রে উত্তরণের পথ সুগম হবে।
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার পরপরই তাঁর কার্যালয় থেকে নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) চিঠি দিয়ে রমজান মাস শুরুর আগেই, অর্থাৎ ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজনের জন্য প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারির দিকে রোজা শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে, নির্বাচনটি ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই সম্পন্ন করতে হবে বলে মনে করা হচ্ছে এবং ১২ ফেব্রুয়ারিকে একটি সম্ভাব্য তারিখ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, সরকারের চিঠি পাওয়ার আগেই তাঁরা নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি শুরু করেছেন। বুধবার নির্বাচন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছি। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকলেও আমাদের প্রস্তুতি এগিয়ে যাচ্ছে।"
নির্বাচনের সময় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো তাদের নির্বাচনী প্রস্তুতি আরও জোরদার করেছে। বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন দল তাদের সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা তৈরির কাজ করছে এবং তৃণমূল পর্যায়ে জনসংযোগ শুরু করেছে। বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই নির্বাচনটি দেশের ইতিহাসে অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচন হতে চলেছে, যেখানে তরুণ ভোটাররা একটি বড় নিয়ামক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে পারে।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। এই সরকার বিভিন্ন খাতে সংস্কার কার্যক্রম পরিচালনার পর একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসও তাঁর ভাষণে একটি উৎসবমুখর, শান্তিপূর্ণ ও স্বচ্ছ নির্বাচন আয়োজনে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- নতুন মার্জিন নীতিতে কারা সুবিধা পাবেন, কারা হারাবেন?
- ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া: কবে, কখন, কোথায়-যেভবে দেখবেন সরাসরি(LIVE)
- শেয়ারবাজারই হতে পারে ওষুধ শিল্পের নতুন প্রাণশক্তি: ডিএসই চেয়ারম্যান
- শেয়ারবাজারে নতুন মার্জিন বিধিমালা জারি করল বিএসইসি
- নিউজিল্যান্ড বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ: খেলাটি মোবাইলে সরাসরি দেখুন(LIVE)
- বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের ৬ কোম্পানির শেয়ারে ঝলক
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের বার্তা
- ‘নো ডিভিডেন্ড’- এর বদনাম ঘুচাল বস্ত্র খাতের তিন কোম্পানি
- শিক্ষাবৃত্তি: প্রতি মাসে পাবে ৩ হাজার টাকা, আবেদন করবেন যেভাবে
- পাঁচ ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা কী পাবেন? জানালেন গভর্নর
- বাংলাদেশ বনাম ভারত: খেলাটি কবে, কোথায়, কখন-জানুন সময়সূচি
- পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার শূন্য ঘোষণা নিয়ে যা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা
- সাপোর্টের রেকর্ড মুনাফা, ১৫ বছরে সর্বোচ্চ ডিভিডেন্ড
- চলতি সপ্তাহে আসছে ৯ কোম্পানির ডিভিডেন্ড
- ব্রাজিল বনাম হন্ডুরাস: ৭ গোলে শেষ হলো ম্যাচ, জানুন ফলাফল