ঢাকা, বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫, ২২ শ্রাবণ ১৪৩২

আল-আরাফাহ ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরিমানা

ডুয়া নিউজ- অর্থনীতি
২০২৫ আগস্ট ০৬ ২২:২৪:৫৩
আল-আরাফাহ ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরিমানা

আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংক তারল্য সংকটে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বিধিবদ্ধ নগদ জমা সংরক্ষণ (সিআরআর) রাখতে পারেনি। এজন্য দণ্ডসুদ হিসেবে জরিমানা গুনতে হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি এ অর্থ পরিশোধ করেছে ব্যাংকটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্যাংকের সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং চলতি দায়িত্বে প্রধান অর্থ কর্মকর্তা কামাল হোসেন জানান, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে দেশের সার্বিক পরিস্থিতির কারণে কিছুটা অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল। এর প্রভাবে নির্ধারিত হারে সিআরআর বজায় রাখা সম্ভব হয়নি। এ কারণে বাংলাদেশ ব্যাংক আমাদের ব্যাংকের বিরুদ্ধে আর্থিক জরিমানা আরোপ করে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংক এক চিঠির মাধ্যমে জরিমানার অর্থ পরিশোধে ১৪ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ করে দেয়। আমরা নির্ধারিত সময়সীমার আগেই, ৪ আগস্ট জরিমানার অর্থ পরিশোধ করেছি।

কামাল হোসেন বলেন, বর্তমানে ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্থিতিশীল। এখন ঋণের প্রবাহ তুলনামূলকভাবে কম থাকলেও আমানতের পরিমাণ বেড়েছে। ফলে সিআরআর-সহ অন্যান্য আর্থিক বাধ্যবাধকতা পূরণে কোনো ধরনের সমস্যা নেই।

গত বছরের ক্ষমতা পরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন কয়েকটি ব্যাংকের বিষয়ে নজরদারি বাড়ায়। এরই অংশ হিসেবে, এস আলমের ভাই আবদুস সামাদ আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। পরবর্তীতে কেডিএস গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা খলিলুর রহমানের ছেলে সেলিম রহমান চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন। এই সময় ব্যাংক খাতে খলিলুর রহমান ও এস আলম গ্রুপের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক নিয়েও নানা আলোচনা শুরু হয়।

পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করে। নতুন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয় লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক খাজা শাহরিয়ারকে। একই সঙ্গে চারজন স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেওয়া হয়। তারা হলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. শাহীন উল ইসলাম, এনআরবি ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল ওয়াদুদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক এম আবু ইউসুফ এবং হিসাববিদ মোহাম্মদ আশরাফুল হাছান।

বর্তমানে ব্যাংকটি ২২৬টি শাখা, ৮৭টি উপশাখা এবং প্রায় ৭৫০টি এজেন্ট আউটলেটের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। গ্রাহক সংখ্যা প্রায় ৩৬ লাখ। ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ ৫১ হাজার কোটি টাকা এবং বিনিয়োগ প্রায় ৪৬ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত