ঢাকা, রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২

মাস্কের ফাইটার : ৯০ মিনিটে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে হামলার সক্ষমতা!

২০২৫ জুলাই ৩১ ১৪:৫২:১১

মাস্কের ফাইটার : ৯০ মিনিটে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে হামলার সক্ষমতা!

টেক্সাসের বোকা চিকা স্পেসপোর্ট থেকে ২০২৫ সালের জুনে সফলভাবে উড্ডয়ন করেছে বিশ্বের প্রথম হাইপারসনিক যুদ্ধবিমান। ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান স্পেস-এক্স ও টেসলা এডভান্সড এভিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে নির্মিত এই যুদ্ধবিমানটি শব্দের গতির প্রায় ৭ গুণ (৮,৬০০ কিমি/ঘণ্টা) বেগে উড়তে সক্ষম। প্রযুক্তিবিদরা একে বিমান প্রযুক্তির ইতিহাসে এক “বিপ্লবী মাইলফলক” হিসেবে দেখছেন।

এই হাইপারসনিক ফাইটার জেটে ব্যবহার করা হয়েছে র্যামজেট-স্ক্র্যামজেট ইঞ্জিন যা অক্সিজেন ছাড়াই বায়ুমণ্ডলের বাইরে কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে পারে। এতে রয়েছে রাডার-শোষক পদার্থ এবং উন্নত স্টিলথ প্রযুক্তি যার ফলে শত্রুর নজর এড়িয়ে চলা সম্ভব। এছাড়া টেসলার পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় এআই-চালিত ককপিট ব্যবহারে এটি মুহূর্তের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিতে পারে যা যুদ্ধক্ষেত্রে বিশাল কৌশলগত সুবিধা প্রদান করে।

এটির অবিশ্বাস্য গতি ও সাবঅরবিটাল ফ্লাইট ক্ষমতার কারণে এই ফাইটার জেট মাত্র ৯০ মিনিটে পৃথিবীর যেকোনো স্থানে পৌঁছাতে সক্ষম। এটি হাইপারসনিক মিসাইল বহনেও পারদর্শী যার ফলে শত্রুপক্ষের এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম প্রতিক্রিয়া জানানোর আগেই আঘাত হানতে পারবে।

পেন্টাগন এই বিমানকে “ষষ্ঠ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান” হিসেবে আখ্যা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা খাত এটির অপারেশনাল ব্যবহার শুরু করতে চায় ২০২৬ সালের মধ্যেই। অন্যদিকে রাশিয়া ও চীনও তাদের নিজস্ব হাইপারসনিক প্রজেক্ট যেমন ‘আভানগার্ড’ ও ‘DF-ZF’ এগিয়ে নিচ্ছে। বোয়িং ও লকহিড মার্টিনসহ শীর্ষ বিমান নির্মাতারা এ প্রযুক্তিতে আরও বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে।

ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তি শুধু যুদ্ধক্ষেত্রেই নয়, ভবিষ্যতের হাইপারসনিক যাত্রীবাহী জেট এবং মহাকাশ পর্যটনের পথও খুলে দেবে। তাঁর প্রত্যাশা আগামী ১০ বছরের মধ্যে নিউইয়র্ক থেকে সিডনির দূরত্ব পাড়ি দেওয়া যাবে মাত্র ২ ঘণ্টায়।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই যুদ্ধবিমানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে মানব ইতিহাসের এক নতুন “হাইপারসনিক যুগ” যেখানে সময়, দূরত্ব এবং প্রতিরক্ষা কৌশলের সংজ্ঞা চিরতরে বদলে যাবে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

সর্বোচ্চ পঠিত