ঢাকা, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২
পহেলগাম হামলায় পাকিস্তান জড়িত থাকার প্রমাণ নেই: সাবেক মন্ত্রী
.jpg)
ভারত-শাসিত কাশ্মীরের পহেলগামে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দেশটির রাজনীতিতে তীব্র ঝড় উঠেছে। দেশটির প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি. চিদাম্বরম মন্তব্য করেছেন, এই হামলায় পাকিস্তানের সংশ্লিষ্টতা বা পাকিস্তান থেকে সন্ত্রাসীরা আসার কোনো প্রমাণ নেই এবং এতে দেশীয় সন্ত্রাসীরাই জড়িত থাকতে পারে। তার এই মন্তব্যের পর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।
সোমবার (২৮ জুলাই) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পার্লামেন্টে ‘অপারেশন সিন্দুর’ নিয়ে বিতর্কের ঠিক আগে পহেলগাম হামলা ঘিরে চিদাম্বরমের এই মন্তব্যে রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে।
সংবাদমাধ্যম ‘দ্য কুইন্ট’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতের সাবেক এই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “(মোদি) সরকার বলছে না যে এনআইএ (ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি) কী তদন্ত করেছে। তারা কি সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করতে পেরেছে? তারা কোথা থেকে এসেছে? যতটুকু জানা যাচ্ছে, তারা দেশীয় সন্ত্রাসীও হতে পারে। আপনারা কেন ধরে নিচ্ছেন তারা পাকিস্তান থেকে এসেছে? এর কোনো প্রমাণ নেই।”
উল্লেখ্য, ভারত সরকার এবং নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে বরাবরই দাবি করা হচ্ছে, পহেলগামে ২৬ জন নিরীহ মানুষকে ঠাণ্ডা মাথায় হত্যাকারী সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের নাগরিক।
চিদাম্বরম আরও অভিযোগ করেন, ‘অপারেশন সিন্দুর’ চলাকালীন ভারতের ক্ষয়ক্ষতি সরকার গোপন করছে। তিনি বলেন, “যেকোনো যুদ্ধে উভয় পক্ষেরই ক্ষয়ক্ষতি হয়। ভারতও নিশ্চয়ই কিছু হারিয়েছে। সরকারের উচিত সেটি খোলাখুলিভাবে বলা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় উইনস্টন চার্চিল প্রায় প্রতিদিনই ক্ষয়ক্ষতির তথ্য প্রকাশ করতেন। যুদ্ধ মানেই ক্ষয়ক্ষতি, এটা স্বাভাবিক। আমি মনে করি, সরকার অপারেশন সিন্দুর ঘিরে একটি মোটা পর্দা টানতে চাইছে, কিন্তু সেটা চলবে না।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কেন সংসদে এই ইস্যুতে আলোচনা এড়িয়ে যাচ্ছেন। চিদাম্বরম বলেন, “সত্যি কথা বলতে কী, যুদ্ধবিরতির ঘোষণাও তো ভারত সরকার দেয়নি, ডোনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছিলেন।”
চিদাম্বরমের এই মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছে শাসক দল বিজেপি। দলের সিনিয়র নেতা অমিত মালব্য বলেছেন, “ইউপিএ আমলের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং কুখ্যাত ‘গেরুয়া সন্ত্রাস’ তত্ত্বের মূল প্রবক্তা পি. চিদাম্বরম আবারও পাকিস্তানের পক্ষে সাফাই গাইছেন। কেন আমাদের বাহিনী যখনই পাকিস্তান-মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের মুখোমুখি হয়, তখনই কংগ্রেস নেতারা ভারতের বিরোধী দলের চেয়ে ইসলামাবাদের আইনজীবীদের মতো বেশি শোনায়?”
তিনি আরও বলেন, “জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে কোনো অস্পষ্টতা থাকা উচিত নয়। কিন্তু কংগ্রেস শত্রুকে রক্ষা করার জন্য সর্বদা পেছনের দিকে ঝুঁকে পড়ে।” এই বিতর্কে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা এবং অভ্যন্তরীণ রাজনীতি নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান