ঢাকা, শুক্রবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৮ ভাদ্র ১৪৩২
সরকার তেলের দাম কমাতে চাইলেও ব্যবসায়ীদের বাঁধা
.jpg)
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে সয়াবিনসহ অন্যান্য ভোজ্যতেলের দাম কমানোর জন্য সরকারের প্রচেষ্টা ব্যবসায়ীদের আপত্তির মুখে ব্যর্থ হয়েছে। দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দুই দফা বৈঠক হলেও কোনো সমাধানে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি, যা নিয়ে একটি অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
রোববার (২৭ জুলাই) বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় দফার বৈঠকটিও কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই শেষ হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রথম দফার বৈঠকও ব্যবসায়ীদের আপত্তিতে নিষ্ফল হয়েছিল।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি ট্যারিফ কমিশন ভোজ্যতেলের স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষণ করে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে। সেই প্রতিবেদনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে গত ১৫ এপ্রিলের তুলনায় ১৫ জুলাই অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম প্রায় ০.৭ শতাংশ বাড়লেও পাম অয়েলের দাম কমেছে ৩ শতাংশ।
এই বিশ্লেষণের ওপর ভিত্তি করে কমিশন জানায়, অভিন্ন মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুযায়ী দেশে প্রতি লিটার খোলা পাম তেলে ১৯ টাকা এবং প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলে এক টাকা দাম কমানোর সুযোগ রয়েছে। সরকার এই প্রস্তাবনা নিয়েই ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে।
তবে ব্যবসায়ীরা ট্যারিফ কমিশনের এই হিসাবকে ‘ত্রুটিপূর্ণ’ ও ‘অবাস্তব’ বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাদের দাবি, ট্যারিফ কমিশন আন্তর্জাতিক বাজারের প্রকৃত চিত্র প্রতিবেদনে তুলে ধরতে ব্যর্থ হয়েছে এবং বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম আরও বেশি।
ব্যবসায়ীরা আরও যুক্তি দেন, সরকার আমদানি করা সয়াবিন তেলের যে উৎপাদন খরচ হিসাব করেছে, সেখানে আমদানি ও উৎপাদন পর্যায়ের ভ্যাটকে বিবেচনায় নেয়নি। এই দুটি কারণে সরকারের হিসাব ভুল হয়েছে এবং এই মুহূর্তে দাম কমানো সম্ভব নয়।
উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সর্বশেষ সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছিল। সেই অনুযায়ী, বর্তমানে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ১৮৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতলের দাম ৯২২ টাকা, এক লিটার খোলা সয়াবিনের দাম ১৬৯ টাকা এবং প্রতি লিটার পাম অয়েলের দাম ১৬৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরপর আর মূল্য সমন্বয় করা হয়নি।
রোববারের বৈঠকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রতিনিধিসহ সিটি, মেঘনা, টি কে ও বসুন্ধরার মতো শীর্ষস্থানীয় ভোজ্যতেল বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। দুই দফা বৈঠকের পরেও কোনো সমাধান না আসায় আপাতত ভোজ্যতেলের দাম কমার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- শেয়ার কারসাজিতে ৫ বিনিয়োগকারীকে ১৩ কোটি টাকা জরিমানা
- এক হাজার কোটি টাকার মামলায় শিবলী রুবাইয়াত গ্রেপ্তার
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- শেয়ার কারসাজিতে ১২ জনকে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জরিমানা
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- কৃত্রিম চাপে শেয়ারবাজারে অস্থিরতা, সহসা পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা
- এক কোম্পারি অস্থিরতায় শেয়ারবাজারে তোলপাড়
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে ইস্টার্ন হাউজিং
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- পাঁচ কোম্পানির কারণে থমকে গেল শেয়ারবাজারের উত্থান