ঢাকা, শনিবার, ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২
শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে বৃত্তি কার্যক্রমে সহযোগিতার হাত বাড়ান: ডুয়া দপ্তর সচিব

দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিশেষ করে মফস্বল এলাকা থেকে অনেক শিক্ষার্থী তাদের স্বপ্ন পূরণে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি)। এখানে আসার পরে তাদেরকে অর্থনৈতিক চিন্তা ভীষণভাবে বাধাগ্রস্ত করে। আর্থিকভাবে অসচ্ছল এসব শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (ডুয়া) দপ্তর সচিব মো. বায়েজীদ বোস্তামী।
শনিবার (২৬ জুলাই) দুপুরে ডুয়া অফিসে বৃত্তির আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে এ আহ্বান জানান বায়েজীদ। তিনি বৃত্তি যাচাই-বাছাই উপ-কমিটির (গ্রুপ-ক)-এর আহ্বায়ক।
বায়েজীদ বোস্তামী বলেন, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কল্যাণে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে কাজ করছে। এরই একটি অংশ হলো এই বৃত্তি কার্যক্রম। আমাদের সীমাবদ্ধতা কারণে প্রতি সেশনে আমরা ৩৫০ জনের মতো শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিয়ে থাকি। কিন্তু এটা অনেক অপ্রতুল। সাক্ষাৎকার গ্রহণের সময় খেয়াল করলাম, প্রায় ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থীর এই বৃত্তি প্রয়োজন। আবেদন করেছিল প্রায় ১৪০০ শিক্ষার্থী। আমাদের সীমাবদ্ধতার কারণে ভাইভার মাধ্যমে শিক্ষার্থী নির্বাচন সীমিত করতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আমাদের নতুন কমিটি আসার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থী শারীরিকভাবে অক্ষম তাদেরকে শতভাগ বৃত্তির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। শুধু সমাজসেবা অফিসের সনদপত্র থাকলেই এই বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। এবার আমরা ৯৬ জনকে এই বৃত্তির জন্য বাছাই করেছি। এসব শিক্ষার্থী চাইলেও অনেক কিছু করতে পারেন না এজন্য তাদেরকে আলাদাভাবে এবার বৃত্তি দেয়া হচ্ছে। শারীরিকভাবে অক্ষমদের বৃত্তি কার্যক্রমে সহযোগিতা করছে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উপলক্ষে শতকোটি টাকা তহবিল উত্তোলন করবো। এই টাকা শিক্ষার্থীদের এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যায় আমরা পাশে দাঁড়াতে পারবো বলে আমার বিশ্বাস।
ধনাঢ্য ব্যক্তিদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে ডুয়ার দপ্তর সচিব বলেন, পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা আছেন। তারা যদি অল্প করে হলেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীর সমস্যায় আমরা এগিয়ে যেতে পারবো। সবার প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, এগিয়ে যাবে এই দেশ।
সাক্ষাৎকার গ্রহণকালে 'সেকশন-এ'-তে উপস্থিত ছিলেন কাজী নাজিয়া হক, এম মনজুর রশীদ, অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান, মো. আব্দুল ওয়াদুদ, গিয়াসউদ্দিন ও মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ।
'সেকশন-বি'-তে উপস্থিত ছিলেন ডুয়ার দপ্তর সচিব বায়েজীদ বোস্তামী, অধ্যাপক মো. আবুল কাশেম, শাহীনুর নার্গিস, মো. শফিকুল ইসলাম, আবু সাদাত মোহাম্মদ শাহীনুল হক ও মোহাম্মদ আব্দুল বাকী।
এছাড়াও সাক্ষাৎকার বডির 'সেকশন-সি'-তে উপস্থিত ছিলেন সেলিম হোসেন, মো. সামাদুল হাসান, রেহানা পারভীন, উত্তম কুমার সরকার ও জাকির এইচ তালুকদার।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১৯ কোম্পানি
- বহুজাতিক কোম্পানির ‘এ’ ক্যাটাগরিতে প্রত্যাবর্তন
- এক কোম্পানির দাপটেই চাঙা শেয়ারবাজার
- শেয়ারবাজারের উত্থান কি টেকসই হবে? বিশ্লেষকরা যা বলছেন
- ডিভিডেন্ড-ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল ১২ কোম্পানি
- ডিভিডেন্ড পেল দুই কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- ২২ জুলাই : শেয়ারবাজারের সেরা ৮ খবর
- সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা, এনসিপির সকল কার্যক্রম স্থগিত
- দ্বিতীয় প্রান্তিকের ইপিএস প্রকাশ করেছে ১৪ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে চমক দেখাল দুই বহুজাতিক কোম্পানি
- সর্বোচ্চ চাহিদার শীর্ষে ৪ কোম্পানির শেয়ার
- বিনিয়োগকারীদের আস্থায় বহুজাতিক তিন কোম্পানি
- চাহিদার তুঙ্গে ১০ কোম্পানির শেয়ার
- ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন বৃত্তির সাক্ষাৎকার নিয়ে নতুন নির্দেশনা
- পাঁচ কোম্পানির শেয়ারে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগ