ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫, ১০ শ্রাবণ ১৪৩২

খুলনা পাওয়ারের দ্বিতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রও বিক্রি

ডুয়া নিউজ- শেয়ারবাজার
২০২৫ জুলাই ২৪ ১৪:০০:৪৪
খুলনা পাওয়ারের দ্বিতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রও বিক্রি

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল) তাদের দ্বিতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তুরস্কের আকসা এনার্জি উরেটিম এএস- এর কাছে বিক্রি করার চুক্তি করেছে। ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) নবায়ন না হওয়ায় ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে অচল অবস্থায় ছিল।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাখিল করা এক মূল্য সংবেদনশীল বিবৃতির মাধ্যমে কোম্পানিটি এই চুক্তির কথা জানিয়েছে। তবে এই লেনদেনের আর্থিক মূল্য প্রকাশ করা হয়নি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি খুলনা পাওয়ারের দ্বিতীয় বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ঘটনা। এর আগে কোম্পানিটি তাদের প্রথম ১১০ মেগাওয়াট বার্জ-মাউন্টেড বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ১৫ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ১৩০ কোটি টাকা) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট গ্লোবাল অপারেশনস এলএলসি-এর কাছে বিক্রির চুক্তি করেছিল।

বর্তমানে খুলনা পাওয়ারের একমাত্র আয়-উৎপাদনকারী সম্পদ হলো তাদের ১৫০ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্ট, যেখানে কোম্পানিটির ৩৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে।

খুলনা পাওয়ারের দ্বিতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্র তুর্কি ফার্মের কাছে বিক্রিশেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত খুলনা পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (কেপিসিএল) তাদের দ্বিতীয় বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি তুরস্কের আকসা এনার্জি উরেটিম এএস- এর কাছে বিক্রি করার চুক্তি করেছে। ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) নবায়ন না হওয়ায় ২০২৪ সালের মার্চ মাস থেকে অচল অবস্থায় ছিল।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দাখিল করা এক মূল্য সংবেদনশীল বিবৃতির মাধ্যমে কোম্পানিটি এই চুক্তির কথা জানিয়েছে। তবে এই লেনদেনের আর্থিক মূল্য প্রকাশ করা হয়নি।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটি খুলনা পাওয়ারের দ্বিতীয় বড় ধরনের বিনিয়োগ প্রত্যাহারের ঘটনা। এর আগে কোম্পানিটি তাদের প্রথম ১১০ মেগাওয়াট বার্জ-মাউন্টেড বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ১৫ মিলিয়ন ডলারে (প্রায় ১৩০ কোটি টাকা) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক্সেলেরেট গ্লোবাল অপারেশনস এলএলসি-এর কাছে বিক্রির চুক্তি করেছিল।

বর্তমানে খুলনা পাওয়ারের একমাত্র আয়-উৎপাদনকারী সম্পদ হলো তাদের ১৫০ মেগাওয়াটের ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্ট, যেখানে কোম্পানিটির ৩৫ শতাংশ অংশীদারিত্ব রয়েছে।

এই চুক্তির ফলে খুলনা পাওয়ারের আর্থিক কাঠামোতে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আসবে। পরপর দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিক্রি করার সিদ্ধান্ত ইঙ্গিত দেয়, কোম্পানিটি তাদের কৌশল পরিবর্তন করে পোর্টফোলিওকে পুনর্গঠিত করছে। বিশেষ করে যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো থেকে আয় আসছিল না, সেগুলোকে বিক্রি করে মূল ব্যবসা এবং লাভজনক প্রকল্পে মনোযোগ বাড়ানো হতে পারে।

এই ধরনের পদক্ষেপ সাধারণত কোম্পানির ঋণ কমানো বা নতুন বিনিয়োগের জন্য তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়। যদিও বিক্রির আর্থিক মূল্য প্রকাশ করা হয়নি, তবুও এটি কোম্পানির তারল্য পরিস্থিতিকে ইতিবাচকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। বাজারের পর্যবেক্ষকরা এখন খুলনা পাওয়ারের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং ইউনাইটেড পায়রা পাওয়ার প্ল্যান্টের কর্মক্ষমতার দিকে নজর রাখবে।

বিনিয়োগকারীদের জন্য এই খবর মিশ্র প্রতিক্রিয়া নিয়ে আসতে পারে। একদিকে, অচল সম্পদ বিক্রি করা একটি ভালো পদক্ষেপ, যা কোম্পানির বোঝা কমাবে। অন্যদিকে, দুটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র হারানোর ফলে ভবিষ্যতে কোম্পানির আয়ের উৎস কমে যেতে পারে, যদি না তারা নতুন কোনো লাভজনক প্রকল্পে বিনিয়োগ করে।

খুলনা পাওয়ার সর্বশেষ ৩০ জুন, ২০২৪ অর্থবছরে শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। তবে ঘোষিত ডিভিডেন্ড বিতরণ না করায় বর্তমানে কোম্পানিটি জেড ক্যাটাগরিতে লেনদেন হচ্ছে। সর্বশেষ অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় হয়েছে ১৫ পয়সা।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত