ঢাকা, বুধবার, ১৬ জুলাই ২০২৫, ১ শ্রাবণ ১৪৩২

ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের লঙ্কাবধ

ডুয়া নিউজ- খেলাধুলা
২০২৫ জুলাই ১৬ ২২:৫৪:১৪
ইতিহাস গড়ে বাংলাদেশের লঙ্কাবধ

কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টি-টোয়েন্টি মানেই ফিরে আসে ২০১৮ সালের নিদাহাস ট্রফির রোমাঞ্চ। সেবার লঙ্কানদের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই জিতেছিল টাইগাররা। সাত বছর পর সেই ভেন্যুতেই আবারও ইতিহাস গড়ল বাংলাদেশ দল। ৮ উইকেটের জয় নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি সিরিজ নিজেদের করে নিল লিটন দাসের দল।

শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারিয়েছিল বাংলাদেশ। পাল্লেকেলেতে সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৭ উইকেটে হারের পর চাপে ছিল দল। সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। পরের দুটি ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জয় তুলে নিয়ে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতে নেয় তারা। এটি এই সফরের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।

১৩৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। শ্রীলঙ্কার পেসার নুয়ান তুষারার বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফিরে যান ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। রিভিউ নিলেও বাঁচতে পারেননি তিনি। এরপর দ্বিতীয় ওভারে লিটন দাসও পড়েছিলেন বিপদে। বিনুরা ফার্নান্দোর করা বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন তিনি। তবে রিভিউতে দেখা যায় বলটি লেগ সাইডের বাইরে পিচ করেছে। ফলে সে যাত্রায় বেঁচে যান লিটন।

এরপর লিটন ও তানজিদ হাসান তামিম মিলে দ্বিতীয় উইকেটে ৫০ বলে গড়েন ৭৪ রানের জুটি। তামিম ছিলেন আগ্রাসী, আর লিটন খেলেছেন ধীরগতিতে। নবম ওভারে কামিন্দু মেন্ডিসের বলে স্লগ সুইপ করতে গিয়ে লিটন ক্যাচ তুলে দেন কুশল পেরেরার হাতে। ২৬ বলে ৩২ রান করেন টাইগার অধিনায়ক।

তবে লিটনের বিদায়ের পর দলের হাল ধরেন তামিম ও তাওহিদ হৃদয়। তানজিদ তামিম ২৬ বলে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি পূর্ণ করেন। এরপর হৃদয়ের সঙ্গে গড়ে তোলেন ৪৮ বলে ৫৯ রানের জুটি। ১৭তম ওভারে মাহিশ তিকশানার বলে এক রান নিয়ে দলকে জয় এনে দেন হৃদয়। ৪৭ বলে ৭৩ রানে অপরাজিত থাকেন তানজিদ। এই রান করতে তিনি হাঁকান ৬ ছক্কা ও ১ চার।

সিরিজের আগে দুই ফরম্যাটে পরাজিত হয়েছিল বাংলাদেশ। পাল্লেকেলেতে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হারের পর ঘুরে দাঁড়িয়ে বাকি দুই ম্যাচ জিতে ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করে টাইগাররা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এটিই বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয়।

এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেয় শ্রীলঙ্কা। ২০ ওভারে ৭ উইকেটে করে ১৩২ রান। সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন পাথুম নিশাঙ্কা, ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন দাসুন শানাকা। বাংলাদেশের শেখ মেহেদী হাসান বল হাতে দারুণ পারফর্ম করেন। এক মেডেনসহ ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। তারই ঝলকেই বাংলাদেশ গড়ে সিরিজ জয়ের ভিত। তিনি হন ম্যাচসেরা।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত