ঢাকা, সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২
দেশের ৫৬ শতাংশ কৃষিজমি এখনও টেকসই ব্যবহারের বাইরে: বিবিএস

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) জানিয়েছে, দেশের কৃষিজমির বড় একটি অংশ এখনও টেকসই চাষের আওতায় আসেনি। সংস্থাটির তথ্যমতে, প্রায় ৫৬ শতাংশ কৃষিজমি টেকসইভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে না, যা দেশের কৃষির জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এই জমিগুলোকে উৎপাদনশীল ও টেকসই ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে আরও কার্যকর উদ্যোগ প্রয়োজন।
সোমবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিবিএস সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘উৎপাদনশীল ও টেকসই কৃষি জরিপ ২০২৫’ শীর্ষক প্রতিবেদনের আনুষ্ঠানিক প্রকাশনা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিবিএস মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব আলেয়া আকতার এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মাহবুবুল হক পাটোয়ারী ও পরিসংখ্যান বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মাসুদ রানা চৌধুরী। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টেকসই কৃষি পরিসংখ্যান (এসএএস) প্রকল্প পরিচালক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম।
বিবিএস-এর তথ্যে উঠে এসেছে, দেশের ৫৫.৬৩% কৃষিজমি এখনও টেকসই ও উৎপাদনশীল ব্যবহারের বাইরে রয়েছে। বিপরীতে, ৪৪.৩৭% জমিতে টেকসই চাষ পরিচালিত হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে দেশের ৭৮.৭৯ শতাংশ কৃষিজমি অন্তত এক বছর লাভজনকভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। এই জমিগুলোতে কৃষকেরা খরচ বাদ দিয়ে প্রকৃত মুনাফা অর্জন করেছেন।
তবে চিত্র সবখানে ইতিবাচক নয়। এখনো প্রায় এক-তৃতীয়াংশ কৃষক কৃষি জমির সুরক্ষার বাইরে রয়েছেন। অপরদিকে, ৬৯.১৬ শতাংশ কৃষিজমি এমন পরিবারগুলোর হাতে রয়েছে, যারা কৃষি ঋণ, বীমা, ও খামার বৈচিত্র্যকরণের মতো ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার আওতায় রয়েছেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ৭২.৭৫ শতাংশ কৃষিজমির মালিকদের অন্তত ৫০ শতাংশ জমি মাটির অবক্ষয়ের শিকার, যা ভবিষ্যতের জন্য গুরুতর হুমকি। যদিও ৮১.৮৬ শতাংশ জমি পর্যাপ্ত সেচ সুবিধা পাচ্ছে, তবে রাসায়নিক সারের বিষয়ে সচেতনতা এখনো সীমিত। মাত্র ৫৬.৯৫ শতাংশ জমির মালিক দুটি সুপারিশকৃত সার ব্যবহারের পদ্ধতি অনুসরণ করছেন।
কীটনাশক ব্যবহারে টেকসই চর্চাও আশানুরূপ নয়—মাত্র ৫১.৩৭ শতাংশ জমিতে টেকসই ব্যবস্থাপনা মেনে কীটনাশক প্রয়োগ করা হয়।
জরিপে আরও জানা যায়, ৬০.১২ শতাংশ কৃষিজমি এমন এলাকায়, যেখানে অদক্ষ শ্রমিকদেরকে কৃষি মজুরির তুলনায় বেশি পারিশ্রমিক দিতে হয়। তবে ভালো দিক হলো, ৯৮.৮৩ শতাংশ কৃষি পরিবার বিগত বছরে খাদ্যসংকটে পড়েনি এবং ৮৯.৩৫ শতাংশ জমি রয়েছে স্থায়ী মালিকানায় থাকা কৃষক পরিবারের হাতে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- পাঁচ কোম্পানিতে বেড়েছে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের শেয়ার
- যেসব শর্তে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হলো ইরান
- খোঁজ মিলছে না আয়াতুল্লাহ খামেনির!
- ঢাবির হলে প্রকাশ্যে ধূমপানে ২০০ টাকা জরিমানার ঘোষণা
- প্রাতিষ্ঠানিকদের দখলে ৮ কোম্পানি: ৪০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ
- ১০ শতাংশ শেয়ারও নেই ৮ কোম্পানির উদ্যেক্তা-পরিচালকদের
- মুন্নু সিরামিকের বিনিয়োগকারীদের জন্য দারুণ সুখবর
- পর্যাপ্ত রিজার্ভ থাকা সত্বেও ফেসভ্যালুর নিচে ১৬ ব্যাংকের শেয়ার
- সরকারি চাকরিতে আসছে অবসরের নতুন নিয়ম
- এক কোম্পানির যাদুতেই শেয়ারবাজারে উত্থান!
- ‘র’-এর ৬ এজেন্ট গ্রেপ্তার
- আর্থিক অস্বচ্ছল দুই শিক্ষার্থীর ভর্তিতে সহযোগিতা করলেন ছাত্রদলনেতা হামিম
- রেকর্ড দামে তিন প্রতিষ্ঠান: বিনিয়োগকারীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস
- ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে তিন কোম্পানি
- রেকর্ড তলানিতে তিন কোম্পানির শেয়ার: বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ