ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ জুলাই ২০২৫, ২ শ্রাবণ ১৪৩২
ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় দীর্ঘদিনের বৈরি ২ দেশের মধ্যে শান্তিচুক্তি
.jpg)
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় অবশেষে কঙ্গো ও রুয়ান্ডার মধ্যে বহু প্রত্যাশিত শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পরও অঞ্চলটির সামনে রয়েছে আরও বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে, সেখানে সক্রিয় রাষ্ট্রবিরোধী সশস্ত্র সংগঠনগুলো এই অস্ত্রবিরতির শর্ত মেনে চলবে কি না তা নিয়ে দেখা দিয়েছে সংশয়।
এই চুক্তির মাধ্যমে মধ্যস্থতাকারী যুক্তরাষ্ট্র অঞ্চলটি থেকে মূল্যবান খনিজ সম্পদ উত্তোলনের অধিকার পাবে।
এদিকে কঙ্গো সরকার এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে। আর রুয়ান্ডায় শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের পর সাধারণ মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তি ও দীর্ঘদিনের স্থিতিশীলতার স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।
মধ্য আফ্রিকার দুই প্রতিবেশী দেশ রুয়ান্ডা ও কঙ্গোর মধ্যে দীর্ঘদিনের সংঘাতের সূচনা হয় ১৯৯৪ সালে। রুয়ান্ডায় সংঘটিত গণহত্যায় হুতু সম্প্রদায়ের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। এ অভিযোগকে কেন্দ্র করে কঙ্গোর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটে রুয়ান্ডার।
১৯৯০-এর দশক থেকে শুরু হওয়া এই সংঘাতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ৬০ লাখেরও বেশি মানুষ। শুরু থেকেই অভিযোগ রয়েছে রুয়ান্ডার প্রত্যক্ষ সমর্থনে এম টুয়েন্টি থ্রি (M23) বিদ্রোহী গোষ্ঠী কঙ্গোয় ব্যাপক অরাজকতা চালিয়ে আসছে।
এই জটিল প্রেক্ষাপটে অবশেষে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ কয়েক দশকের দ্বন্দ্বের অবসান ঘটাতে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করেছে কঙ্গো ও রুয়ান্ডা।
রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে প্রস্তাবিত এই শান্তিচুক্তির অধীনে রুয়ান্ডা পূর্ব কঙ্গো থেকে ৯০ দিনের মধ্যে তার সৈন্য প্রত্যাহার করবে। যদিও সংঘাত শেষ হবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে, তবুও এই চুক্তি রুয়ান্ডাবাসীর কাছে অর্থনৈতিক মুক্তি এবং স্থিতিশীলতার নতুন আশা বয়ে আনেছে।
রুয়ান্ডার এক বাসিন্দা বলেন, "চুক্তির কারণে অবশ্যই তারা লাভবান হবেন।" তাছাড়া দেশের অর্থনীতি ও সীমান্তকেন্দ্রিক বাণিজ্য ব্যবস্থা আবারো ঘুরে দাঁড়াবে বলেও মনে করেন তিনি।
অন্যদিকে কঙ্গোর বাসিন্দাদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে এখনও সংশয় রয়েছে। তবুও তারা চুক্তির প্রতি সম্মান জানিয়ে রক্তপাত বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
কঙ্গোর এক বাসিন্দা বলেন, "কঙ্গো চুক্তি স্বাক্ষরে রাজি হওয়ায় আমরা খুশি। আশা করি চুক্তির প্রতি সম্মান দেখিয়ে দুই দেশ রক্তপাত বন্ধ করবে।"
মার্কিন প্রশাসনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে কঙ্গো ও রুয়ান্ডার প্রতিনিধি দল। দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এই চুক্তির মাধ্যমে অঞ্চলটিতে অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও সমৃদ্ধির নতুন অধ্যায় শুরু হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেন, "একটি গৌরবময় বিজয় উদযাপন করতে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য শাস্তি প্রতিষ্ঠা। দীর্ঘ অপেক্ষার পর ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অব দ্যা কঙ্গো ও রিপাবলিক অব রুয়ান্ডার মধ্যে ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হলো।"
রয়টার্স জানায়, কঙ্গো ও রুয়ান্ডার মধ্যকার শান্তিচুক্তি কার্যকর হলে পশ্চিমা দেশগুলোরও উল্লেখযোগ্য লাভ হবে। কারণ পূর্ব কঙ্গোতে পাওয়া দুর্লভ খনিজের বাজারমূল্য কমপক্ষে ২৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
সূত্রের মতে, বর্তমান ট্রাম্প প্রশাসন এই অঞ্চলের খনিজ আহরণে সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে চায়। এ খাতের বড় অংশ বর্তমানে চীন নিয়ন্ত্রণ করে। গ্রিনল্যান্ড ও পূর্ব কঙ্গোর মতো অঞ্চলগুলোতে প্রবেশাধিকার পেলে বেইজিংয়ের সঙ্গে দুর্লভ খনিজ বাজারে ওয়াশিংটনের প্রতিযোগিতা বাড়বে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- চলতি সপ্তাহে বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস ওঠার সম্ভাবনা
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শিক্ষার্থীদের আলোকিত ভবিষ্যত গড়তে পাশে থাকবে ঢাবি অ্যালামনাই
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- ঢাবির ২০১৮-১৯ সেশনের অছাত্ররা হতে পারবেন না ভোটার-প্রার্থী
- ১৬ জুলাই সরকারি ছুটি কি-না? যা জানা যাচ্ছে
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- ঢাবির জিয়া হলে ‘ক্যারিয়ার টক’ অনুষ্ঠিত
- ডিভিডেন্ড পেয়েছে চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা