ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫, ২১ কার্তিক ১৪৩২

ইরানে পরিচালিত অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ কী?

২০২৫ জুন ১৬ ২০:২০:৪৬

ইরানে পরিচালিত অপারেশন ‘রাইজিং লায়ন’ কী?

ইসরায়েল সম্প্রতি ইরানের বিরুদ্ধে চালানো সামরিক অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’, যা বাইবেলের একটি পদ থেকে অনুপ্রাণিত। বাইবেলীয় সংখ্যা ২৩:২৪ এ বলা হয়েছে: “তারা উঠবে একটি সিংহের মতো, যেন এটি একটি যুবক সিংহ; সে শুয়ে পড়বে না যতক্ষণ না শিকার করে এবং নিহতদের রক্ত পান করে।” এই ধর্মীয় অনুপ্রেরণার ভিত্তিতে ইসরায়েল এই অভিযানকে আত্মরক্ষা ও ঈশ্বরপ্রদত্ত দায়িত্ব হিসেবে চিহ্নিত করছে।

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু নিজ হাতে এই বাণীটি লিখে জেরুজালেমের পশ্চিম প্রাচীরে প্রার্থনা করেন, যা এই অভিযানের পরিকল্পনার প্রতীকী প্রমাণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

অপারেশন রাইজিং লায়ন কী?গত শুক্রবার (১৩ জুন) ইসরায়েল তেহরানের পারমাণবিক স্থাপনা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির কেন্দ্রস্থলে হামলা চালায়, যার নামকরণ করা হয় ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। ইসরায়েলের ভাষ্যমতে, এটি ছিল একটি পূর্বপরিকল্পিত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যার লক্ষ্য ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক সক্ষমতা ধ্বংস করা।

নেতানিয়াহু অভিযানের ঘোষণায় বলেন, “আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এই হুমকি রেখে যেতে পারি না। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আমরা হয়তো ভবিষ্যতে আর থাকব না।”

তিনি আরও জানান, ইরান আগামী ছয় বছরে ২০ হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করতে চেয়েছিল। সেই পরিকল্পনাকে রুখতেই ইসরায়েল এই অভিযান চালায়।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর মতে, এই হামলা ছিল প্রথম পর্যায়ের। তাতে ইরানের বিভিন্ন অঞ্চলে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত ড্যানি ড্যানন বলেন, “এই অভিযান ইরান ও বিশ্বের মানুষের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি দূর করার পদক্ষেপ।”

‘রাইজিং লায়ন’ এখন কেবল একটি সামরিক অভিযানের নাম নয়—এটি হয়ে উঠেছে ইসরায়েলের সামরিক শক্তি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং আত্মরক্ষার প্রতীক।

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত