ঢাকা, সোমবার, ১৬ জুন ২০২৫, ২ আষাঢ় ১৪৩২
লন্ডন ছাড়ছেন তারেক রহমান
.jpg)
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী দেড় মাসের মধ্যেই যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে দেশে ফিরছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তার প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে রাজধানী ঢাকাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। তাকে স্বাগত জানাতে কমপক্ষে ২০ লাখ নেতাকর্মীকে সমাবেশে আনার পরিকল্পনা রয়েছে।
দলের উচ্চপর্যায়ের একাধিক সূত্র জানিয়েছে, দেশে ফিরে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে সরাসরি নেতৃত্ব দেবেন তারেক রহমান। তার আগমনের খবরে ইতোমধ্যে দলীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, "ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অত্যন্ত শিগগিরই দেশে ফিরবেন। তার প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় পুরো জাতি তাকিয়ে আছে।"
লন্ডনে অবস্থানরত দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, "তারেক রহমানের দেশে ফিরতে কোনো আইনগত বাধা নেই। তিনি যখন ইচ্ছা তখন ফিরতে পারেন।"
সূত্র আরও জানায়, লন্ডনে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি ফলপ্রসূ বৈঠকের পর বিএনপির নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী ৫ আগস্টের আগেই তারেক রহমান দেশে ফিরতে পারেন। যদি কোনো কারণে তা সম্ভব না হয় তবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরপরই তিনি দেশে ফিরবেন।
তারেক রহমানের আগমনে ঢাকায় একটি বিশাল জনসমাবেশের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সারা দেশ থেকে নেতাকর্মীরা ঢাকায় এসে তাকে বরণ করে নেবেন বলে জানানো হয়েছে।
দলের নেতারা মনে করছেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনে বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড আরও জোরদার হবে এবং নির্বাচনপূর্ব প্রস্তুতি নতুন গতি পাবে। বিশেষ করে প্রার্থী বাছাই, কৌশল নির্ধারণ ও জোট গঠনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলোতে তার উপস্থিতি অত্যন্ত প্রয়োজন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, "তিনি (তারেক রহমান) বাংলাদেশের নাগরিক, দেশে ফিরতে চাইলে তার কোনো বাধা নেই।"
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একাধিকবার জানিয়েছেন, তারেক রহমান দেশে ফিরবেন এবং দলের নেতৃত্বে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হবেন। যদিও নির্দিষ্ট কোনো তারিখ তিনি জানাননি।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সিনিয়র সাংবাদিক আশরাফ কায়সারের একটি মন্তব্য ঘিরে আলোচনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। তিনি রসিকতা করে বলেন, "৩৬ জুলাই-এর আগেই তারেক রহমান ফিরছেন" যা ইঙ্গিত করে আগস্টের শুরুর দিকেই তার প্রত্যাবর্তন।
উল্লেখ্য, ওয়ান ইলেভেন পরবর্তী সময় এবং আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা ৮৭টি মামলার অনেকগুলো খারিজ বা স্থগিত হয়েছে। বাকি মামলাগুলোতেও তিনি জামিনে রয়েছেন। আইনজীবীরা বলছেন এখন তার দেশে ফিরতে আর কোনো আইনি বাধা নেই।
সব মিলিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীরা আশাবাদী তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন জাতীয় রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে বেগবান করবে।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বিনিয়োগকারীদের সর্বনাশ করেছে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি
- বাংলাদেশের শেয়ারবাজারে দ্যুতি ছড়াচ্ছে ১৩ ‘বনেদি’ কোম্পানি
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- সত্যিই কি স্ট্রোক করেছেন মির্জা ফখরুল? যা জানা গেল
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির