ঢাকা, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২

ফোনের ব্যাটারি ও ডেটা অতিরিক্ত খরচ হয় যেসব কারণে

ডুয়া নিউজ- তথ্য প্রযুক্তি
২০২৫ জুন ০৭ ১২:৫৮:৫৭
ফোনের ব্যাটারি ও ডেটা অতিরিক্ত খরচ হয় যেসব কারণে

স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা প্রায়ই লক্ষ্য করেন মোবাইল ডেটা দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে বা ফোনের ব্যাটারি দ্রুত খরচ হচ্ছে, এমনকি ফোন ব্যবহার না করলেও। এই সমস্যার মূল কারণ হয়ে থাকে কিছু অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ যেগুলো ব্যবহারকারীর অজান্তে ব্যাকগ্রাউন্ডে অতিরিক্ত ডেটা ও ব্যাটারি ব্যবহার করে। প্রযুক্তিবিদেরা এসব অ্যাপকে ‘ব্যাটারি ভ্যাম্পায়ার’ হিসেবে অভিহিত করেন। অ্যাপের নকশাগত ত্রুটি, অনাবশ্যক ব্যাকগ্রাউন্ড কার্যক্রম, স্বয়ংক্রিয় আপডেট, লোকেশন সার্ভিস এবং বারবার পুশ নোটিফিকেশন পাঠানো এই অতিরিক্ত খরচের পেছনে দায়ী। চলুন দেখে নিই ফোনের ডেটা ও ব্যাটারি দ্রুত খরচ হওয়ার প্রধান কারণগুলো—

ব্যাকগ্রাউন্ডে সচল থাকা অ্যাপ:অনেক অ্যাপ ব্যবহার না করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে কাজ চালিয়ে যায়। বিশেষ করে যেসব অ্যাপ রিয়েলটাইম তথ্য দেখায় বা সার্ভারের সঙ্গে নিয়মিত তথ্য বিনিময় করে। যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদ বা ইমেইল অ্যাপ। কিছু অ্যাপ ডেটা ক্যাশে করে দ্রুত লোডের জন্য, আবার কিছু ‘প্রিফেচিং’ পদ্ধতিতে আগেভাগে তথ্য ডাউনলোড করে। যা ডেটা ব্যবহার বাড়ায়।

লোকেশনভিত্তিক অ্যাপের বেশি ব্যবহার:গুগল ম্যাপস, ওয়েজের মতো নেভিগেশন অ্যাপ নিয়মিত লোকেশন আপডেটের মাধ্যমে ডেটা ও ব্যাটারি দ্রুত খরচ করে। তাজা যানজট বা দুর্ঘটনার তথ্য পেতে অ্যাপগুলো সার্বক্ষণিক সক্রিয় থাকতে হয়। এগুলো ডেটা খরচ বাড়ায়।

ভিপিএন চালু থাকলে ডেটা ব্যবহার বৃদ্ধি:নিরাপত্তার জন্য ভিপিএন ব্যবহারে ডেটা খরচ ৪ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। কারণ প্রতিটি তথ্য প্যাকেট এনক্রিপ্ট করে পাঠাতে হয়।

বারবার পুশ নোটিফিকেশন:ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জারসহ অনেক অ্যাপ নিয়মিত নোটিফিকেশন পাঠায় এবং ব্যাকগ্রাউন্ডে সক্রিয় থাকে। এগুলো ডেটা ও প্রসেসরের ওপর চাপ বাড়ায়।

ভিডিও ও মিউজিক স্ট্রিমিং অ্যাপ:ইউটিউব, নেটফ্লিক্স, ডিজনি+, স্পটিফাইয়ের মতো অ্যাপ প্রচুর ডেটা ব্যবহার করে। বিশেষ করে স্পটিফাই ব্যাকগ্রাউন্ডে চলার সময় ডেটা খরচ বাড়ায়। তবে ‘ডেটা সেভার’ মোড চালু করলে ডেটা ব্যবহার কমানো যায়।

অটো প্লে ভিডিও ফিচার:সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ক্রল করার সময় হঠাৎ ভিডিও চালু হয়ে যাওয়া ডেটা দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ। বেশিরভাগ অ্যাপে সেটিংস থেকে এই ফিচার বন্ধ করা যায়।

গুগল প্লে স্টোরের স্বয়ংক্রিয় আপডেট:অ্যাপগুলোর নিয়মিত স্বয়ংক্রিয় আপডেট ডেটা দ্রুত শেষ হওয়ার কারণ হতে পারে।

ক্ষতিকর বা ম্যালওয়্যার অ্যাপ:ম্যালওয়্যার বা ক্ষতিকর অ্যাপ গুগল প্লে স্টোরেও ঢুকে পড়ে যা প্রথমে সাধারণ আচরণ করলেও পরে অজান্তে ব্যাকগ্রাউন্ডে ডেটা ও ব্যাটারি ব্যবহার বাড়াতে পারে।

সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ

পাঠকের মতামত:

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

সর্বোচ্চ পঠিত