ঢাকা, সোমবার, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২৪ ভাদ্র ১৪৩২
তীব্র যানযট: পথে আনন্দ হারাচ্ছেন ঈদযাত্রীরা
.jpg)
দিন পেরিয়ে রাত নামলেও শেষ হয়নি ঈদযাত্রার ভোগান্তি। ঢাকার উত্তরের প্রধান প্রবেশপথ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পড়েছেন শত শত মানুষ। অনেকে আবার শত চেষ্টা করেও কোনো পরিবহনে উঠতে পারেননি। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে আছেন একটাই আশায়, কোনোভাবে যেন বাড়ি ফেরা যায়।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে নয়টার দিকে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী, স্টেশন রোড, চেরাগ আলী, কলেজ গেট থেকে শুরু করে গাজীপুরের চৌরাস্তা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানবাহনের সারি। কেউ বাসে উঠে আটকে আছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা, আবার অনেকে বাসের দেখা পর্যন্ত পাচ্ছেন না। যানজটের এমন পরিস্থিতিতে অসংখ্য যাত্রী হেঁটে এগোতে বাধ্য হচ্ছেন, আর পেছনে রয়ে যাচ্ছে ধীরগতির বাস। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের কেউ কোলে ছোট শিশু, কেউ স্যুটকেসের ওপর বসে ক্লান্ত হয়ে অপেক্ষা করছেন। কারও মুখে বিরক্তি, কারও চোখে হতাশা।
দূরপাল্লার বাস না পেয়ে অনেক যাত্রী গাজীপুর সিটির লোকাল সিটিবাস, মিনিবাস এমনকি মালবাহী পিকআপেও যাত্রা করছেন। সেই সঙ্গে ভাড়ার নামে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদযাত্রার এই চাপ সামাল দিতে আগাম কোনো কার্যকর প্রস্তুতি ছিল না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ট্রাফিক কর্মকর্তা জানান, ‘আজ সড়কে স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুণ গাড়ি। আবার সবাই আজই ঢাকা ছাড়তে চাইছে। ফলে চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
কলেজ গেট এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করা শিক্ষার্থী নাঈমুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এই অবস্থা দেখলে মনে হয় কোনো সমন্বিত পরিকল্পনাই ছিল না। মানুষ পিকআপ ভ্যানে, পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে একটু বাসের আশায় থাকা — এসব দেখে বোঝা যায়, আমাদের ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।’
একই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন রবিউল ইসলাম নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘বাড়ি ফেরা যখন যুদ্ধের মতো হয়ে যায়, তখন ঈদের আগের সব আনন্দই হারিয়ে যায়। উৎসব মানে তো উচ্ছ্বাস আর তাড়াহুড়ো। কিন্তু এই যানজট আর অব্যবস্থাপনায় সেই উচ্ছ্বাস যাত্রাপথেই হারিয়ে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে, পরিবহন সংকটে বিপাকে পড়ে অনেকে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান বা মালবাহী পিকআপে চড়ছেন। যাঁরা একটু জায়গা পাচ্ছেন, সন্তান, পরিবার ও ব্যাগপত্র-সহ ঝুঁকি নিয়েই উঠছেন। পথে পথে চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ। যাত্রীদের অনেকে জানালেন, স্বল্প দূরত্ব হলেও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। ঈদের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু পরিবহন শ্রমিক যাত্রীদের অসহায়তাকে পুঁজি করে বাড়তি ভাড়া আদায়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- কোম্পানি পুরোদমে উৎপাদনে, তারপরও শঙ্কায় বিনিয়োগকারীরা!
- বিও অ্যাকাউন্টের ফি নিয়ে বিনিয়োগকারীদের সুখবর দিল বিএসইসি
- তালিকাচ্যুতির ঝুঁকিতে অলিম্পিক এক্সেসরিজ
- এক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় ৫ কোম্পানি
- শেয়ারবাজারে দ্রুত মুনাফা তোলার ৫টি ট্রেডিং টিপস
- রবির মাধ্যমে দেশে আসছে স্টারলিংক স্যাটেলাইট ইন্টারনেট
- সর্বোচ্চ চাহিদায় নাগালের বাইরে ১৪ প্রতিষ্ঠান
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- শেয়ারবাজারে মিডল্যান্ড ব্যাংকের নতুন যাত্রা
- সাবেক কর্মীদের ১৮২৩ কোটি টাকা আটকে রেখেছে ম্যারিকো
- আট কোম্পানির শেয়ার নিয়ে কাড়াকাড়ি
- সর্বনিম্ন দামে আটকে গেল ৭ কোম্পানির শেয়ার
- নতুন উচ্চতায় অগ্রসর হচ্ছে দেশের শেয়ারবাজার
- চার জেডের শেয়ারে বিনিয়োগকারীদের সর্বোচ্চ আস্থা
- মুনাফা বাড়াতে নতুন পরিকল্পনা: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে হাক্কানী পাল্প