ঢাকা, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
তীব্র যানযট: পথে আনন্দ হারাচ্ছেন ঈদযাত্রীরা
.jpg)
দিন পেরিয়ে রাত নামলেও শেষ হয়নি ঈদযাত্রার ভোগান্তি। ঢাকার উত্তরের প্রধান প্রবেশপথ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আটকে পড়েছেন শত শত মানুষ। অনেকে আবার শত চেষ্টা করেও কোনো পরিবহনে উঠতে পারেননি। তারা পরিবার-পরিজন নিয়ে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে আছেন একটাই আশায়, কোনোভাবে যেন বাড়ি ফেরা যায়।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সাড়ে নয়টার দিকে এমন চিত্রই দেখা গেছে।
সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, উত্তরা, আব্দুল্লাহপুর, টঙ্গী, স্টেশন রোড, চেরাগ আলী, কলেজ গেট থেকে শুরু করে গাজীপুরের চৌরাস্তা পর্যন্ত মহাসড়কের দুই পাশে দীর্ঘ যানবাহনের সারি। কেউ বাসে উঠে আটকে আছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা, আবার অনেকে বাসের দেখা পর্যন্ত পাচ্ছেন না। যানজটের এমন পরিস্থিতিতে অসংখ্য যাত্রী হেঁটে এগোতে বাধ্য হচ্ছেন, আর পেছনে রয়ে যাচ্ছে ধীরগতির বাস। রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের কেউ কোলে ছোট শিশু, কেউ স্যুটকেসের ওপর বসে ক্লান্ত হয়ে অপেক্ষা করছেন। কারও মুখে বিরক্তি, কারও চোখে হতাশা।
দূরপাল্লার বাস না পেয়ে অনেক যাত্রী গাজীপুর সিটির লোকাল সিটিবাস, মিনিবাস এমনকি মালবাহী পিকআপেও যাত্রা করছেন। সেই সঙ্গে ভাড়ার নামে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা। যাত্রীদের অভিযোগ, ঈদযাত্রার এই চাপ সামাল দিতে আগাম কোনো কার্যকর প্রস্তুতি ছিল না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ট্রাফিক কর্মকর্তা জানান, ‘আজ সড়কে স্বাভাবিক সময়ের দ্বিগুণ গাড়ি। আবার সবাই আজই ঢাকা ছাড়তে চাইছে। ফলে চাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে।’
কলেজ গেট এলাকায় বাসের জন্য অপেক্ষা করা শিক্ষার্থী নাঈমুল ইসলাম বলেন, ‘ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এই অবস্থা দেখলে মনে হয় কোনো সমন্বিত পরিকল্পনাই ছিল না। মানুষ পিকআপ ভ্যানে, পণ্যবাহী ট্রাকে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে একটু বাসের আশায় থাকা — এসব দেখে বোঝা যায়, আমাদের ঈদের প্রস্তুতি নিয়ে নতুন করে ভাবার সময় এসেছে।’
একই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন রবিউল ইসলাম নামের এক যাত্রী। তিনি বলেন, ‘বাড়ি ফেরা যখন যুদ্ধের মতো হয়ে যায়, তখন ঈদের আগের সব আনন্দই হারিয়ে যায়। উৎসব মানে তো উচ্ছ্বাস আর তাড়াহুড়ো। কিন্তু এই যানজট আর অব্যবস্থাপনায় সেই উচ্ছ্বাস যাত্রাপথেই হারিয়ে যাচ্ছে।’
অন্যদিকে, পরিবহন সংকটে বিপাকে পড়ে অনেকে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান বা মালবাহী পিকআপে চড়ছেন। যাঁরা একটু জায়গা পাচ্ছেন, সন্তান, পরিবার ও ব্যাগপত্র-সহ ঝুঁকি নিয়েই উঠছেন। পথে পথে চলছে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগ। যাত্রীদের অনেকে জানালেন, স্বল্প দূরত্ব হলেও ভাড়া নেওয়া হচ্ছে দ্বিগুণ। ঈদের এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু পরিবহন শ্রমিক যাত্রীদের অসহায়তাকে পুঁজি করে বাড়তি ভাড়া আদায়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- লাইভে এসে হিরো আলমের আ-ত্ম-হ-ত্যা
- পাঁচ কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিএসসি
- শেয়ার কারসাজিতে ১৪ ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানকে ২.৫২ কোটি টাকা জরিমানা
- শিক্ষা ক্যাডারে ৪৯তম বিশেষ বিসিএস সার্কুলার প্রকাশে পিএসসির চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি
- মৌসুমী-হাসান জাহাঙ্গীরের বিয়ে: ওমর সানীর ‘জুতাপেটা’র হুমকি
- ঘুরে দাঁড়ানোর পথে দেশের শেয়ারবাজার: দৃশ্যমান হচ্ছে ইতিবাচক পদক্ষেপ
- বিনিয়োগকারীদের ডিভিডেন্ড দেয়ায় ক্যাটাগরি উন্নতি
- মূলধন বাড়াতে রাইট শেয়ার ইস্যুর সিদ্ধান্ত
- সাবেক উপদেষ্টা গ্রেপ্তার:চাঞ্চল্যকর তথ্য
- শেয়ারবাজার বাঁচাতে অর্থ উপদেষ্টা ও বিএসইসি চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবি
- বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য সুখবর: কমছে কর, বাড়ছে সুযোগ
- ডিভিডেন্ডের দেখা পেলেন চার কোম্পানির বিনিয়োগকারীরা
- প্রথমবারের মতো লোকসানে কোম্পানি, ডিভিডেন্ডও তলানিতে
- বিচ হ্যাচারি: ঝলমলে অবস্থান থেকে হঠাৎ অন্ধকারে!
- ডিএসইর চোখে বাজেট শেয়ারবাজারবান্ধব