ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫, ৪ আষাঢ় ১৪৩২
রাজপথে বিনিয়োগকারীদের কফিন মিছিল, কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

ডুয়া নিউজ: একদিনের স্বল্প মেয়াদি উত্থানের পর সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস রবিবার (১৮ মে) দেশের দুই প্রধান স্টক এক্সচেঞ্জ—ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)—ফের পতনের মুখে পড়ে। বাজার খুলতে সূচক বাড়লেও মধ্যভাগ থেকে দরপতন শুরু হয়, যা দিনশেষেও অব্যাহত থাকে।
সূচকের এই ধারাবাহিক পতন ও বিনিয়োগ হারানোর ক্ষোভ থেকে শেয়ারবাজার সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। দিনশেষে রাজধানীর মতিঝিলে সড়ক অবরোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে এবং ডিএসইর পুরনো ভবনের সামনে ‘কফিন মিছিল’ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
পদত্যাগ ও অপসারণের দাবি
বিক্ষোভকালে বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবি করেন। একই সঙ্গে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবু আহমেদের অপসারণ চেয়ে স্লোগান দেন।
বক্তারা বলেন, “যারা শেয়ারবাজারের এই সংকট মোকাবেলায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন, যারা বিনিয়োগকারীদের বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেননি, তাদের পদে থাকার নৈতিক অধিকার নেই।” তারা আরও বলেন, “এই দুই জনের অপসারণ না হলে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। প্রয়োজনে লাগাতার কর্মসূচির দিকে যাবে বিনিয়োগকারীরা।”
ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীদের হাহাকার
গত কয়েক মাস ধরে বাজারে ধারাবাহিক দরপতনের কারণে পুঁজি হারিয়ে পথে বসেছেন বহু ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী। অনেকেই তাদের শেষ সম্বল দিয়ে বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু বাজারের এহেন অবস্থায় বড় অঙ্কের লোকসানে পড়েছেন তারা।
বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃত্বে আয়োজিত বিক্ষোভে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “আমরা এখন বাজারে আশার কোনো আলো দেখতে পাচ্ছি না। প্রতিদিন আমাদের সম্পদ গলছে, অথচ কেউ কোনো দায় নিচ্ছে না।”
সংগঠনের সভাপতি এস এম ইকবাল হোসেন বলেন, “বিনিয়োগকারীদের জীবন-জীবিকা আজ হুমকির মুখে। অথচ কর্তৃপক্ষের মধ্যে কোনো সদিচ্ছা বা উদ্যোগ নেই। আমরা আর সহ্য করবো না।”
সংগঠনের মুখপাত্র নুরুল ইসলাম মানিক বলেন, “বিএসইসি ও আইসিবির বর্তমান নেতৃত্বের অধীনে বাজারের স্থিতিশীলতা ফেরানো সম্ভব নয়। বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হলে তাদের অপসারণ এখন সময়ের দাবি।”
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- শেয়ারবাজারে বিস্ময়: এক লাখ টাকার শেয়ার ৮০ কোটি!
- ডিভিডেন্ডের উপর উচ্চ কর: শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা নিয়ে উদ্বেগ
- বদলে গেছে ধারণা, বিস্মিত ইসরায়েল
- শেয়ারবাজারের শর্ত পূরণে ৬০ কোম্পানিকে বিএসইসির আল্টিমেটাম
- মুনাফা থেকে লোকসানে তথ্য প্রযুক্তির দুই কোম্পানি
- মূলধন বাড়ানোর সিদ্ধান্ত শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংকের
- শেয়ারবাজারের ১০ ব্যাংকে আমানত বেড়েছে ৩২ হাজার কোটি টাকা
- নীলক্ষেত হোস্টেল থেকে ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীর ম’রদেহ উদ্ধার
- ইরানকে হা-ম-লা বন্ধে প্রস্তাব
- ঢাবিতে হটাৎ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ, ককটেল বি-স্ফো-র-ণ
- কারাগারে ফাঁসিতে ঝুললেন সেই অস্ত্রধারী আ’লীগ নেতা
- দুই বড় খবরের মধ্যে আজ খুলছে দেশের শেয়ারবাজার
- ডিভিডেন্ড বেড়েছে শেয়ারবাজারের সাত ব্যাংকের
- মূলধনের বেশি রিজার্ভ জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির
- মুনাফা বেড়েছে ১৮ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির