ঢাকা, বুধবার, ৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

ভারতের হামলায় যা বলছে বিশ্বমিডিয়া

২০২৫ মে ০৭ ১৬:০৪:৪৮
ভারতের হামলায় যা বলছে বিশ্বমিডিয়া

ডুয়া ডেস্ক: বুধবার ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত লস্কর-ই-তইয়্যেবা ও জইশ-ই-মোহাম্মদ এর মতো নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর ঘাঁটিগুলো লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। খবর এনডিটিভির।

'অপারেশন সিঁদুর' নামে চালানো এই সামরিক অভিযান পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পাল্টা জবাব হিসেবে ধরা হচ্ছে।

যদিও পাকিস্তানের মসজিদেও হামলা চালিয়েছে ভারত। এতে ৭০ জন নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত, আর পাকিস্তান ২৬ জনের নিহত হওয়ার বিষয় নিশ্চিত করেছে।

এই অভিযানে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ব্যাপক গুরুত্ব দিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে এবং পুরো বিশ্বের নজর এই ঘটনায় কেন্দ্রীভূত হয়।

ভারতের এই পদক্ষেপ পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় একটি বড় ধরনের উত্তেজনা হিসেবে দেখা হয়েছে। বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করে বলেছে, এই হামলা ছিল সন্ত্রাসবিরোধী একটি পরিকল্পিত প্রতিক্রিয়া, আগ্রাসী কোনো পদক্ষেপ নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের শীর্ষ গণমাধ্যমগুলো এই ঘটনাকে প্রধান শিরোনাম হিসেবে প্রকাশ করেছে। দাবি এনডিটিভির।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন:দ্য নিউ ইউর্ক টাইমস শিরোনাম করেছে, “কাশ্মীর হামলার পর পাকিস্তানের ভেতরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল ভারত।” তারা এই হামলাকে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে "একটি বড় উত্তেজনা বৃদ্ধি" হিসেবে উল্লেখ করে এবং জানায়, ভারত এই হামলার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে অবহিত করেছিল—যা আন্তর্জাতিক উত্তেজনা কমাতে ভারতের একটি কূটনৈতিক প্রয়াস ছিল।

সিএনএন তাদের শিরোনামে বলেছে, “বড় সংঘর্ষের দ্বারপ্রান্তে ভারত ও পাকিস্তান।” প্রতিবেদনে ভারত যে উন্নত প্রযুক্তির অস্ত্র, যেমন রাফাল যুদ্ধবিমান ও স্কাল্প ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করেছে, তা তুলে ধরা হয়। তারা জোর দিয়ে বলে, হামলাগুলো সন্ত্রাসী ঘাঁটিকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়েছে, সামরিক স্থাপনাকে নয়—যা ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করে।

দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট শিরোনাম দিয়েছে, "ভারতের হামলায় উত্তেজনা চরমে, পাল্টা জবাবের হুমকি ইসলামাবাদের"। তারা এটিকে "পরিমিত শক্তির প্রদর্শন" হিসেবে ব্যাখ্যা করে। প্রতিবেদনে ভারতের পক্ষ থেকে বেসামরিক প্রাণহানি এড়ানোর চেষ্টা এবং সামরিক স্থাপনা না লক্ষ্য করার বিষয়টি গুরুত্ব পায়।

বিবিসি তাদের প্রতিবেদনে জানায়, বাহাওয়ালপুর ও মুরিদকেতে অবস্থিত সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলো ছিল ভারতের প্রধান লক্ষ্য। তারা আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগও তুলে ধরে। প্রতিবেদনে এই সংঘাত আরও বাড়তে পারে এমন আশঙ্কা থেকে সৃষ্টি হয়েছে।

ভারতের অবস্থান:

ভারত বুধবার স্পষ্টভাবে জানায়, তাদের সামরিক অভিযান ছিল লক্ষ্যভিত্তিক, পরিমিত এবং উত্তেজনা না বাড়ানোর উদ্দেশ্যে পরিচালিত। পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।

রাত ১টা ৪৪ মিনিটে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়:"কিছুক্ষণ আগে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ শুরু করেছে। এই অভিযানে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরে অবস্থিত সন্ত্রাসী অবকাঠামোতে আঘাত হানা হয়েছে, যেখান থেকে ভারতের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালিত ও পরিকল্পিত হয়।"

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, "লক্ষ্য বাছাই ও হামলার কৌশলে ভারত যথেষ্ট সংযম দেখিয়েছে।"

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে