ঢাকা, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ৪ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

ডুয়া ডেস্ক: ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)-এর বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। শ্রম আইনের তোয়াক্কা না করে প্রতিষ্ঠানটি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে, আর কর্মকর্তারা নিজেদের সুবিধামতো নিয়ন্ত্রণ করেন কারখানার কার্যক্রম।
অবশেষে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের লিফ কারখানার চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) খুলনা শ্রম আদালতে মামলাটি করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের কুষ্টিয়া কার্যালয়ের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) ফারজুন ইসলাম।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া অফিসের উপমহাপরিদর্শক ফরহাদ ওহাব।
মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে, তারা হলেন—ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিশা আব্রাহাম, হেড অব অপারেশনস জর্জ লুইস মার্সেডো, সেক্রেটারি ও সিনিয়র লিগ্যাল কাউন্সেল সৈয়দ আফজাল হোসেন এবং কুষ্টিয়ার চৌড়হাস এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত লিফ কারখানার প্লান্ট ম্যানেজার মুকিত আহমেদ চৌধুরী।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার অফিসের উপ-মহাপরিদর্শক ফরহাদ ওহাব বলেন, ‘শ্রম আইনের বিধান না মানায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশের (বিএটিবি) চার কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। খুলনা শ্রম আদালতে মামলাটি করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ (বিএটিবি)-এর বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে আসছেন শ্রমিকরা। এই ধারাবাহিকতার অংশ হিসেবে গত বুধবার (২৩ এপ্রিল) থেকে ২২ দফা দাবিতে কুষ্টিয়ায় বিএটি লিফ ফ্যাক্টরির শতাধিক মৌসুমি শ্রমিক বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেছেন।
টানা এক সপ্তাহ ধরে কুষ্টিয়া শহরের চৌড়হাস এলাকায় কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের পাশে অবস্থিত লিফ ফ্যাক্টরির মূল গেটের সামনে এই কর্মসূচি চলছে। এখনও পর্যন্ত তারা অবস্থানে রয়েছেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। দাবি না মানলে আরও কঠোর কর্মসূচিতে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা বিএটিবির মৌসুমি শ্রমিক। আমরা ২২ দফা দাবি আদায়ে অনেক আগে থেকে আন্দোলন করে আসছি। আমাদের বারবার আশ্বাস দেওয়া হলেও দাবি মানা হয় না। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে ১৭ এপ্রিল শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় থেকে আইনগত ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। আমাদের দাবি মানা না হলে আমরা আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
শ্রমিকদের দাবিগুলো হচ্ছে—প্রতি বছর নতুন করে নিয়োগপত্র দেওয়ার প্রথা বন্ধ করে একটি স্থায়ী নিয়োগপত্র প্রদান, কোম্পানির মোট মুনাফার ৫ শতাংশ শ্রমিকদের মধ্যে বণ্টন, প্রভিডেন্ট ফান্ড সুবিধা চালু, শ্রমিকদের জন্য ঝুঁকি বিমা নিশ্চিতকরণ এবং ট্রেড ইউনিয়ন গঠনের অধিকার নিশ্চিত করা।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা এসব দাবির সমর্থনে হাতে ব্যানার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড বহন করেন। এসব নিয়ে তারা কারখানার প্রধান ফটকসহ আশপাশের এলাকায় মিছিল করেন। এ সময় তারা ‘শ্রম দিলাম, টাকা কই’ এবং ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরও দেব রক্ত’—এমন প্রতিবাদী স্লোগান দেন।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- স্বল্প মূল্যে কম্পিউটার স্কিল ট্রেনিং কোর্সে ভর্তির সুযোগ, আসন সীমিত
- ডুয়া নিউজের বিশেষ প্রতিযোগিতা, পুরস্কার ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা!
- যারা বৃত্তি পাবে না, তাদের জন্য পার্ট-টাইম জবের চিন্তা-ভাবনা
- শেয়ারবাজারে তানিয়া শারমিন ও মাহবুব মজুমদার ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ
- শেয়ারবাজারের ৩ প্রতিষ্ঠানের ২৯৬ কোটি টাকা মানি লন্ডারিং
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দামের জন্য ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ঢাবি অ্যালামনাই ও নিউ হরাইজন কানাডিয়ান স্কুলের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
- জুলাই স্মৃতি জাদুঘর: টেন্ডার ছাড়াই ১১১ কোটি টাকার কাজ পেল দুই প্রতিষ্ঠান
- ১০ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা তালিকাভুক্ত কোম্পানির উদ্যোক্তার
- ইপিএস ঘোষণার তারিখ জানাল দুই কোম্পানি
- ‘শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই’
- শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম নিয়ে ডিএসইর সতর্কতা
- শেয়ার কারসাজিকারীদের শাস্তি ১০ বছর করার প্রস্তাব
- নির্বাচন বানচাল করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকতে হবে: দুদু
- চাঙ্গা বাজারের নেপথ্যে চার স্টার শেয়ার