ঢাকা, সোমবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭ ভাদ্র ১৪৩২
মেয়র পদে গেজেট কবে, জানতে ইসিতে ইশরাক

ডুয়া নিউজ: আদালতের রায়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ঘোষণা পাওয়ার পরও গেজেট প্রকাশে বিলম্ব হওয়ায় এর কারণ জানতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির বিশেষ সহকারী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সিইসির কার্যালয়ে যান ইশরাক হোসেন।
এরপর সাংবাদিকদের ইশরাক হোসেন বলেন, “আপনারা অবগত আছেন যে কয়েক দিন আগে আমি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের মামলার একটি রায় পেয়েছি। সেই রায়ের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে এবং সেটি কীভাবে কার্যকর করা হবে, সেই আলাপ করার জন্য সিইসি মহোদয়ের কাছে এসেছি।”
তিনি বলেন, “আদালতের আদেশ অনুযায়ী রায়ের কপি পাওয়ার ১০ কর্মদিবসের মধ্যে গেজেট প্রকাশ করার কথা। নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়েছে। গেজেট প্রকাশে সর্বশেষ অগ্রগতি এবং এসব বিষয়ে খোঁজখবর ও আপডেটের জন্য তিনি সিইসির সঙ্গে কথা বলেছেন।”
বিএনপির এই নেতা জানান, “তিনি সবকিছু আইন মেনেই করেছেন। আইন অনুযায়ী নির্বাচনের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যেই নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করার নিয়ম। তিনি সেই সময়ের মধ্যেই মামলাটি করেছিলেন। পরে নিয়ম হচ্ছে ১৮০ দিনের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করা। কিন্তু তাঁর প্রতিপক্ষ (ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস) বারবার প্রভাব খাটিয়ে রায়কে প্রলম্বিত করেছেন বলে তিনি অভিযোগ করেন।”
মেয়র পদে দায়িত্ব কতদিনের জন্য পাবেন—সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ইশরাক হোসেন জানান, গেজেট প্রকাশের পর তিনি তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে বসে মেয়াদের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঢাকার নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল সেই ফলাফল বাতিল করে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে ঘোষণা দেয়। প্রায় এক মাস পর, গত মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন গেজেট প্রকাশের আগে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চেয়ে চিঠি পাঠায়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৩ মার্চ, ডিএসসিসি নির্বাচনে ফলাফল ও নির্বাচন প্রক্রিয়ার অনিয়ম, দুর্নীতি এবং গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ইশরাক হোসেন নিজেই মামলা দায়ের করেছিলেন। মামলায় তৎকালীন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা, রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেন, সাবেক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসসহ মোট আটজনকে বিবাদী করা হয়।
পাঠকের মতামত:
সর্বোচ্চ পঠিত
- সম্ভাবনার নতুন দিগন্তে শেয়ারবাজারের খান ব্রাদার্স
- বিদেশি বিনিয়োগ বেড়েছে শেয়ারবাজারের ১১ কোম্পানিতে
- মূলধন ঘাটতিতে দুই ব্রোকারেজ হাউজ, ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ
- চলতি বছর শেয়ারবাজারে আসছে রাষ্ট্রায়াত্ব দুই প্রতিষ্ঠান
- মার্জারের সাফল্যে উজ্জ্বল ফার কেমিক্যাল
- তালিকাভুক্ত কোম্পানির ১৫ লাখ শেয়ার কেনার ঘোষণা
- বিমা আইন সংস্কার: বিনিয়োগ ও আস্থায় নতুন দিগন্ত
- শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর প্রথম ‘নো ডিভিডেন্ড’
- শেয়ারবাজারে রেকর্ড: বছরের সর্বোচ্চ দামে ১৭ কোম্পানি
- ডেনিম উৎপাদন বাড়াতে এভিন্স টেক্সটাইলসের বড় পরিকল্পনা
- তিন শেয়ারের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি, ডিএসইর সতর্কবার্তা
- তদন্তের খবরে থামছে দুই কোম্পানির ঘোড়দৌড়
- চলতি সপ্তাহে ঘোষণা আসছে ৫ কোম্পানির ডিভিডেন্ড-ইপিএস
- তিন কোম্পানির অস্বাভাবিক শেয়ারদর: ডিএসইর সতর্কবার্তা
- ব্যাখ্যা শুনতে ডাকা হচ্ছে শেয়ারবাজারের পাঁচ ব্যাংককে